বিশ্বজিৎ মিত্র: ছ'ফুট তিন ইঞ্চি! না, কোনও মানুষের উচ্চতা নয়। এটা একটি লাউয়ের উচ্চতা। এই রকম লম্বা লাউ ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন নদীয়ার রানাঘাটের এক যুবক দীপক স্বর্ণকার।মাসতিনেক আগে লখনউ থেকে বীজ সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতেছিলেন দীপক স্বর্ণকার। তারপর আস্তে আস্তে তা থেকে অঙ্কুরোদ্গম এবং চারা গজিয়ে ওঠা। ক্রমে সেই চারায় ফল ধরতে শুরু করে।
খুবই দীর্ঘাকৃতি এই লাউ। লম্বা প্রজাতির এই লাউয়ের নাম-- নরেন্দ্র শিবানী। ফল ধরার পর থেকেই ক্রমশ লম্বা হতে শুরু করে এই লাউ। বর্তমানে এই প্রজাতির যে লাউটি ফলেছে তার উচ্চতা ছয় ফুট ৩ ইঞ্চি!সকলে সাধারণত ১ ফুট উচ্চতার লাউ দেখেই অভ্যস্ত। সেই জায়গায় এত বড় আকার-আকৃতির লাউ খুবই কৌতূহল জাগিয়েছে সকলের মনে। এরকম লম্বা লাউ অনেকেই আগে দেখেননি, শোনেনিও হয়তো। এমনই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।রানাঘাটের আনুলিয়ায় নিজের বাড়িতেই এই লাউ ফলিয়েছেন দীপক। নিতান্তই শখের বশে এই জাতের লাউয়ের বীজ পুঁতেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাই যে এত চমক নিয়ে হাজির হবে, তা আগে থেকে অনুমান করা যায়নি। বর্তমানে সাতটির মতো লাউ ধরেছে তাঁর গাছে। দীপকবাবু নিজে খেয়েও দেখেছেন এই লাউ। তাঁর মতে, যথেষ্ট সুস্বাদু এই লাউ। এখন তাঁর এই লাউ দেখতে কৌতূহলী মানুষরা ভিড় করছেন তাঁর বাগানে। সকলেই জানতে চাইছেন, কী ভাবে চাষ করা যায় এই লাউ?দীপক জানাচ্ছেন, কিছুই না, স্রেফ গোড়ায় সামান্য জল, কোনও বিশেষ যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। খরচ বলতে একটিই, গাছ বড় হলে একটি মাচা তৈরি করে দিতে হয়।