সাতসকালেই প্রসন্ন ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় ইডি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায়
২৪ ঘন্টা | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
অয়ন ঘোষাল ও নান্টু হাজরা: সকাল থেকে কুয়াশায় ঢেকেছে চারপাশ। সঙ্গে ঠান্ডা। তার মধ্যেই সাতসকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুকুন্দপুর ও নিউটাউন-সহ মোট ৪টি জায়গায় হানা দিল ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় প্রতিটি জায়গা। তার পর ভেতরে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার গোয়েন্দারা। মুকুন্দপুরের নয়াবাদ এলাকার একটি আবাসন, নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসনে হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চলে আরও দুটি ঠিকানাতেও।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের দুর্নীতির শিকড়ে নজর ইডির। নিয়োগ মামলায় জামিনে মুক্তির পর ফের বিপাকে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। এবার প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। পাশাপাশি প্রসন্ন রায়ের বাড়ি, অফিস ও তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হাজির হয়ে যায় ইডি। এর মধ্যে অন্যতম হল মুকুন্দপুরের একতা আবাসন। ওই বাড়ির ৩ তলার একটি ফ্ল্যাটে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। প্রসন্ন নিজেও একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, তাঁর ওই ব্য়বসার পাশাপাশি অয়োগ্য প্রার্থীদের খুঁজে বের করে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিতেন। এক্ষেত্রে কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যা কিনা তা খুঁজে দেখছে ইডি। মুকুন্দপুরের নয়াবাদের ব্যবসায়ীর বাড়িতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেই মনে করছে ইডি। এর মধ্যে রয়েছে বহু ডিজিটাল নথি।নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নিউ টাউনেও পৌঁছে যায় ইডির একটি দল। সেখানে তল্লাশি চলছে আডিয়াল আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে। এখানেই রয়েছে প্রসন্নর ফ্ল্যাট ও অফিস। এর আগে সিবিআই তার বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট তাকে গ্রেফতারও করা হয়। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসেন প্রসন্ন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতিতে কাজ করতেন প্রসন্ন। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। গ্রুপ ডি ও নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল প্রসন্নর।ইডি আজ হানা দিয়েছে সল্টলেকের বলাকা আবাসন, নিউটাউনের আডিয়াল ভিলা আবাসন, নিউ টাউনের স্কাইপ আবাসন ও মুকুন্দপুরের একতা আবাসন। এদের মধ্যে রয়েছে প্রদীপ সিং ও রোহিত ঝা। প্রদীপ ঝা থাকেন সল্টলেকের বলাকা আবাসনে। পেশায় তিনি ট্রাভেল এজেন্ট। অভিযাগ উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এজেন্ট হিসেবেই কাজ করতেন প্রসন্ন।