নির্মল পাত্র: মিড-ডে মিলে পাটিসাপটা! খুশি ফুরফুরা নারায়ণী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে যখন মিড-ডে মিল নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠে আসছে, তখন ফুরফুরা নারায়ণী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ রান্না করে ছাত্রীদের দেওয়া হয় মিড-ডে মিলের খাবারে। এমনকি নান সময়ের মরশুমি ফলও দেওয়া হয় ছাত্রীদের পাতে। দেওয়া হয় বিভিন্ন রকমের মিষ্টিও। আর স্কুলে অনুষ্ঠান হলে তো কথাই নেই, মিড-ডে মিলে মেলে মাংস-ভাত থেকে বিরিয়ানিও! স্কুলের ছাত্রীদের দাবি, দিদিমণিদের কাছে তাদের পছন্দের খাবার আবদার করলেই, পরদিন তা হাজির হয় মিড-ডে মিলের পাতে।সেরকমই পৌষ পার্বণ উপলক্ষে ছাত্রীদের আবদার ছিল পিঠে খাওয়ার। তাই আজ মিড-ডে মিলে খিচুড়ির সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসাবে ছাত্রীদের দেওয়া হয় পাটিসাপটা। বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় চারশো জনের উপর। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৃদুলা হালদার বলেন, "পৌষ পার্বণ উপলক্ষে ছাত্রীদের জন্য পাটিসাপটা করা হয়েছে। তবে প্রতি দিনই মিড-ডে মিলে ছাত্রীদের জন্য স্পেশাল কিছু না কিছু আইটেম থাকে।" মিড-ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে ভূরি ভূরি অভিযোগ, তাহলে এই স্কুলে এত কিছু খাবার দেওয়া সম্ভব হয় কী করে? প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষিকা জানান, "বিশেষ কোনও টেকনিক নেই। বাড়তি খরচ বাঁচিয়েই এটা করা সম্ভব।" এই মিড-ডে মিলের পুরো বাজার করার দায়িত্বটা তিনি নিজের কাঁধেই নিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা মৃদুলা হালদার। সদিচ্ছা থাকলে মিড-ডে মিল নিয়ে যে কোনও অভিযোগ থাকতে পারে না, তা প্রমাণ করে দিয়েছে হুগলির ফুরফুরা নারায়ণী বালিকা বিদ্যালয়। ওদিকে ঠিক এর বিপরীত ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা কৃষ্ণমোহন ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, স্কুলের মিড-ডে মিলের বিপুল পরিমাণ চাল নষ্ট হচ্ছে। মিড-ডে মিলের শতাধিক বস্তা চাল স্কুলের গোডাউনে পড়ে রয়েছে। পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সেই চাল। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের গোডাউনে ১০০ বস্তার ওপর মিড-ডে মিলের চাল মজুত করে রাখা হয়েছে। সেই চালে পোকা ধরেছে। মিড-ডে মিলের চালের নষ্টের অভিযোগে এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলের ফান্ডের টাকা তছরুপ করেছেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। ঘটনায় শোরগোল ঘাটালের ইড়পালা এলাকায়। যদিও অভিযোগ এড়িয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।