• এশিয়ায় প্রথম, ৪ কোটি ব্যয়ে ডুয়ার্সের বৃহত্তম চা-বাগানে বসল সোলার প্যানেল!
    ২৪ ঘন্টা | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • অরূপ বসাক: এশিয়ায় প্রথম। ডুয়ার্সের চ্যাংমারি চা বাগানের বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এবার কাজে লাগানো হবে সৌরশক্তিকে। বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। চা-বাগানের কারখানার কাজ থেকে শুরু করে সব কিছু। বাগান কর্মচারীদের আবাসে বিদ্যুতের আলো। সবকিছুই হবে সৌরশক্তির মাধ্যমে। এমনই নজিরবিহীন ব্যবস্থা চালু করেছে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম চা বাগান চ্যাংমারি। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অচিরাচরিত শক্তির এমন বড় আকারের ব্যবস্থা শুধু ভারত কেন, এশিয়া মহাদেশের চা উৎপাদক দেশগুলির কোনও বাগানের ইতিহাসেও এই প্রথম।এখন প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ মিলছে। তা সোজা চলে যাচ্ছে কারখানায়। সেখান থেকে বাগানের অন্যান্য অংশে সরবরাহ করা হচ্ছে। কেবল পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নয়, বর্তমান দর ধরলে এর ফলে বাগান কর্তৃপক্ষের বছরে সাশ্রয় হবে ৮০ লক্ষ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা। চ্যাংমারির ম্যানেজার গজেন্দ্র শিসোদিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে সৌরশক্তি উৎপাদনের যে প্যানেলগুলি বসানো হয়েছে তা বাই-ফেসিয়াল। অর্থাৎ সূর্যের দিকে তাক করে থাকা প্যানেলের অংশ, কিংবা নীচের অংশ, দুটি দিকই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এমন ব্যবস্থা গোটা দেশের চা শিল্পের নিরিখে প্রথম।’ প্রকল্পটি চালু করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উঠে আসবে বলেই বাগান কর্তৃপক্ষের আশা। আর যা সাশ্রয় হবে, তার পুরোটাই বাগানের উন্নয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ খাতে খরচ করা হবে বলে আশ্বাস।চ্যাংমারির কারখানা থেকে কিছুটা দূরে ১ হেক্টর জমিজুড়ে মোট ৪৯০টি সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১০৪০ কিলোওয়াট। এখন শীতকালীন খরা মরশুমের কারণে সমস্ত বাগানের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে চ্যাংমারির কারখানা চালু নেই। তবে বাগানজুড়ে ১৫টি পাম্পের সাহায্যে কৃত্রিম জলসেচের কাজ ওই সৌরশক্তির মাধ্যমেই হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করেছে টাটা গোষ্ঠী। প্রকল্প তৈরি বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে ৪.২৫ কোটি টাকা। এর অর্থ, আগামী ৫ থেকে সাড়ে ৫ বছর পর যে পরিমাণ বিদ্যুৎ মিলবে, তা পুরোটাই কার্যত বিনা খরচের। রক্ষণাবেক্ষণ বলতে সৌর প্যানেলগুলি সপ্তাহে একদিন করে ভালো মতো পরিষ্কার করে নেওয়া।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)