সাড়ে ৩ বছরের আলাপ! হাঠৎ লিভ ইন পার্টনারকে দেখে এই অবস্থায়....
২৪ ঘন্টা | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
সন্দীপ প্রামাণিক: সাড়ে তিন বছরের আলাপ এবং সেই আলাপ থেকে ভালোবাসা যুবক ও যুবতীর। হাওড়া লিলুয়ার বাসিন্দা বছর ৩১-এর অনিক সাহা ও বেহালা পর্ণশ্রীর বাসিন্দা রিম্পা চক্রবর্তী দুজনেই বিবাহিত। বেশ কিছুদিন আগে রিম্পা চক্রবর্তীর স্বামীর সঙ্গে রিম্পার ডিভোর্স হয়ে যায়। রিম্পার একটি পুত্র সন্তানও আছে। বর্তমানে সেই পুত্রের বয়স ৭ বছর। এরপর ওই রিম্পার সঙ্গে অনিক সাহার পরিচয় হয়।
অনিক সাহা বিবাহিত হওয়া সত্বেও রিম্পার সঙ্গে লিভিং পার্টনার হয়ে যায়। রিম্পা, অনিককে বহুবার আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু অনিক তার আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়নি। অনিক তার স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে যোগাযোগও রাখত বলে খবর। আর এই নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত প্রায়শই। গত দু'মাস আগে সেই ঝামেলা চরম আকার নিলে রিম্পা অনিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায়। এর জেরে, অনিকের ১৪ থেকে ১৫ দিন জেল হেফাজত হয়ে যায়। জেল হেফাজতের পর জামিনে ছাড়া পেলে আবার দুজনের মধ্যে মিলমিশ শুরু হয়। বুধবার রাত্রিবেলা আবার রিম্পার সঙ্গে অনিকের ঝামেলা শুরু হয়। সহ্য করতে না পেরে রিম্পা চারতলার ফ্যাট থেকে নিচে নেমে আসে। সেই সময় উপর থেকে অনিক চিৎকার করে বলতে থাকে সে আত্মহত্যা করবে। এই চিৎকার শুনে পাড়ার একজন প্রতিবেশি ১০০ ডায়ালে ফোন করে দেয়।রিম্পা উপরে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তখন রাত সাড়ে বারোটা বাজে। এরপর পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নাইলন দড়ি দিয়ে ঝুলছে অনিক। তাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় আপাতত পর্ণশ্রী থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।(আত্মহত্যা শুধু আপনাকেই নয়, আপনার কাছের মানুষদেরও শেষ করে দেয়। আপনি কোনও ভাবে বিষণ্ণ বা অবসাদগ্রস্ত হলে কল করুন ৯১৫২৯-৮৭৮২১ নম্বরে। সোম থেকে শনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফোন করার সময়।)