সম্পূর্ণা চক্রবর্তী, ভুবনেশ্বরঘড়ির কাঁটা সন্ধে সাতটা ছুঁইছুঁই। ভুবনেশ্বরের ক্যাপিটল ফুটবল এরিনার সামনে গাড়ি থেকে নামলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। দু"বছর আগে হলে হয়তো সাংবাদিকদের দিকে ফিরেও তাকাতেন না। কিন্তু নিজেকে কিছুটা বদলে ফেলেছেন আইএসএলের সবচেয়ে সফল কোচ। নিজেই জিজ্ঞেস করলেন, "হাউ আর ইউ?" নিয়মরক্ষার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে হাঁটা মারলেন, এমন নয়। হাসিমুখে উত্তরের অপেক্ষা করলেন। যা স্প্যানিশ কোচের স্বভাববিরুদ্ধ। ময়দানে মেজাজি কোচ হিসেবেই পরিচিত। কলকাতায় দুই পর্বে তাঁকে একইভাবে দেখেছি আমরা। কিন্তু এদিন তার থেকে কিছুটা আলাদা মেজাজেই ধরা দিলেন হাবাস। দু"বছর আগে এক শীতের দুপুরে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোকে। আবার সেই চেয়ারে ফিরতে পেরে যেন আরও বেশি তৃপ্ত। হাবাস বলেন, "কলকাতা আমার নিজের শহরের মতো। আবার ফিরতে পেরে আমি খুবই খুশি।" সুপার কাপের ডার্বিতে বেঞ্চে বসতে পারবেন না। এমন হবে কি ভেবেছিলেন? হাবাস বলেন, "আমি এই বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। আমাকে কিছু জানানো হয়নি।" এটিকে এবং এটিকে মোহনবাগান, দু"দফায় ভারতে কোচিং করিয়েছেন। শহর, ক্লাব সবই হাতের তালুর মতো চেনা। একাধিক ডার্বির অভিজ্ঞতাও আছে। তার সঙ্গে আগামীকালের ডার্বির পার্থক্য কি? হাবাস বলেন, "সত্যি বলতে আমি বিশেষ কোনও পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। এই পরিবেশ আমার চেনা। দলে বেশ কয়েকজন আছে যাদের আমি আগে থেকেই চিনি। তাই আমার মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। বরং উপভোগ করছি। ডার্বি সবসময় স্পেশাল। আগেও ছিল, কালও তাই।" শুক্রবার খাতায় কলমে কিছুটা পিছিয়ে থেকে শুরু করবে মোহনবাগান। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বেশ প্রাণোচ্ছল দেখায় সবুজ মেরুন শিবিরকে। সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে ক্যাপিটল ফুটবল এরিনায় প্র্যাকটিস করে মোহনবাগান দল। খোশমেজাজে ছিলেন জেসন কামিন্স, হুগো বুমোসরা। শরীরীভাষা ইতিবাচক। শুরুতে হইহই করে বেশ কিছুক্ষণ বল চোর খেলে বাগানের ফুটবলাররা। দেখে কে বলবে কাল ডার্বি! একাধিক প্রতিকূলতার মধ্যে বড় ম্যাচে নামায় হয়তো হারানোর কিছুই নেই বাগানের। সেই কারণেই হালকা মেজাজে সবুজ মেরুন শিবির। এদিন সাইডলাইনে আলাদা অনুশীলন করেন আনোয়ার আলি। হাবাসের কড়া নজরদারিতে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করতে দেখা যায় কামিন্স, সাদিকুদের। ফুটবলারদের ভুল সংশোধনও করে দেন। দিনের শেষে বাগানের প্রাক ডার্বি প্রস্তুতিতে হাবাসই "বাগানের বস।"