সাফাইকর্মীদের দেখে হৃদয় কাঁদল মমতার, মাঘের সকালে তাঁদের শীতবস্ত্রে মুড়লেন উষ্ণতায়
২৪ ঘন্টা | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। পরিচয়- পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম মুখ্য়মন্ত্রী। জননেত্রী অর্থাৎ মানুষের নেত্রী তিনি। এই রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের বিপুল ভালোবাসায় রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্য়মন্ত্রী এমন এক কাজ করলেন, যা দেখার পর তাঁর প্রতি সম্মান আরও বেড়ে যাবে। মানবিক মমতা রাজপথে নেমে দেখলেন, মাঘের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাজ করছেন সাফাইকর্মীরা। যা দেখে তাঁর হৃদয় কেঁদে উঠল। কনভয় থামিয়ে, নিজে হাতে করে কম্বল তুলে দিলেন সেই সাফাইকর্মীদের হাতে। তৃণমূল কংগ্রেসের (All India Trinamool Congress) প্রতিষ্ঠাতা নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করে জানালেন সেই কথা। মমতা লেখেন, 'মিলন-প্রভাতে দূরের মানুষ আসিল নিকটে মম।' প্রতিদিনের মতো, আজও বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে সাফাই কর্মীদের দেখে আমার কষ্ট হচ্ছিল। এই শীতের দিনে তাঁদের জীবনযাপন আমাকে ভাবায়, আমার হৃদয়ে বেদনার সঞ্চার করে। তাঁরা আমার এই শহর তথা রাজ্যকে পরিষ্কার রাখে। তাই আজ, নবান্ন যাওয়ার সময় সেই সকল মানুষের হাতে তুলে দিলাম কম্বল। আমার নিজের সাধ্যমত সর্বদা সকল মানুষের পাশে থাকতে আমি বদ্ধপরিকর। আমার রাজ্যের যে-কোনো প্রান্তে কোনো একজন মানুষও যদি দুঃখে-কষ্টে থাকে, তাহলে তা আমার কাছে সমান বেদনাদায়ক। জনসেবা করার জন্যই নিজের গোটা জীবনকে সঁপে দিয়েছি গণদেবতার স্বার্থে। তাঁরা ভালো থাকলেই আমার ভালো থাকা। আপনারা সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।' স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে কম্বল পেয়ে সাফাই কর্মীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কেউ কেউ মমতাকে প্রণাম করে ধন্য়বাদও জানিয়েছেন।অন্য়দিকে এদিন বিকেলেই ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্ধোধন করলেন মমতা। সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গণে মমতাই ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। তাঁর পাশে ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স ইলিস সিএমজি, ব্রিটিশ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর অ্যালিসন ব্যারেট এমবিই এবং সাহিত্যিক বাণী বসু। এদিন তাঁকে রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কা সিইএসসি সৃষ্টি সম্মান প্রদানও করা হয়েছে। এবছর ১৩ দিন ধরে চলবে বইমেলা। ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি। এই বইমেলা একদিন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বইমেলা হবেই বলেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। যিনি নিজে ১৪৩ টা বই লিখেছেন। জানিয়েছেন আগামী বছরের মধ্য়ে আরও সাতটা বই লিখে সংখ্যাটা ১৫০ করে দেবেন তিনি।