• কোচিং সেন্টারগুলির ওপর একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করল কেন্দ্র
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • নিউ দিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে পড়ুয়ারা হতাশা ও মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এর জেরে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। সেজন্য দেশের কোচিং সেন্টারগুলিতে পড়া নিয়ে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করল কেন্দ্র সরকার। এই মানসিক অবসাদ ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। যার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট education.gov.in-এ এই সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-কানুন তুলে দেওয়া হয়েছে।
    গতকাল বৃহস্পতিবার এবিষয়ে বেশ কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে। এই নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও কোচিং সেন্টার ১৬ বছরের নিচে কোনও ছাত্র ছাত্রীকে ভর্তি নিতে পারবে না। কোচিং সেন্টারগুলি এমন কোনও বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না, যাতে অভিভাবকরা ভুলপথে পরিচালিত হয়। বিজ্ঞাপনে বলা যাবে না, তাদের কোচিং সেন্টারে পড়লে ভালো র‌্যাঙ্ক হবে। পড়ুয়াদের অবসাদ সৃষ্টি হয় এমন কোনও কাজ কোচিং সেন্টারগুলি করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের অবসাদ দূর করার চেষ্টা করতে হবে। অস্বাভাবিক টিউশন ফি নেওয়া যাবে না। তা যথাযথ হতে হবে। কোনও পড়ুয়া যদি মাঝপথে কোচিং সেন্টার ছেড়ে চলে যায়, তবে পাওনা অর্থ ফেরত দিতে হবে। অর্থাৎ যতদিন তারা ওই সেন্টারে পড়েছে, সেই টাকা নিয়ে বাকি টাকা পড়ুয়াকে ফেরত দিতে হবে।
    পাশাপাশি, কোচিং সেন্টারে শিক্ষকদের যোগ্যতার মানও নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র সরকার। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নয়া গাইডলানে বলা হয়েছে, কোচিং সেন্টারে শিক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক হতে হবে।
    কোচিং সেন্টারগুলি যদি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের এই নয়া নির্দেশগুলি না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ধার্য হবে জরিমানা। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তি হিসেবে প্রথম দফায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। এরপরও কেন্দ্রীয় নিয়ম না মানলে দ্বিতীয় দফায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। এরপরও একই ঘটনা ঘটলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে ওই কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)