অনুপ কুমার দাস: নদিয়া জেলায় এই প্রথম স্কুল পড়ুয়াদের জন্য চালু হল প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স! জেলায় প্রথম এই উদ্যোগ নিল নদিয়ার নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এতদিন পর্যন্ত ডিজিটাল হাজিরা দেওয়ার পরিষেবা দেখতে পাওয়া যেত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, আদালতেই। তবে ধীরে ধীরে রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলিও চালু করছে পড়ুয়াদের জন্য ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স পরিষেবা।নদিয়া জেলায় সর্বপ্রথম মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু করা হয় এই পরিষেবা। শুক্রবার এই ডিজিটাল পরিষেবার প্রথম উদ্বোধন করেন কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক। স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকলেই দেখা যাবে একটি ইলেকট্রনিক্স বস্তু লাগানো রয়েছে।পড়ুয়াদের প্রত্যেককেই দেওয়া হয়েছে একটি করে ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ড। যার মধ্যে লাগানো রয়েছে একটি আধুনিক বৈদ্যুতিন চিপ। স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করা মাত্রই সেই কার্ডটি স্কুলে লাগানো ওই বৈদ্যুতিন যন্ত্রের মধ্যে এবং স্কুল থেকে বেরোনোর আগে পুনরায় একবার সেই যন্ত্রের কাছে এসে ছোঁয়ালেই ওই পড়ুয়ার অভিভাবকদের মোবাইলে সরাসরি পৌঁছে যাবে স্কুলে ওই পড়ুয়ার প্রবেশ এবং বাহিরের সম্পূর্ণ সময়সূচির তথ্য। আর এর ফলে অনেকটাই চিন্তামুক্ত হতে পারবেন অভিভাবকেরা।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ জানান, বর্তমানে স্কুলে ১৮৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আমরা এই পরিষেবা চালু করেছি। এতে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা নথিভুক্ত হবে, ঠিক তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় উপস্থিতির হারও বৃদ্ধি পাবে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকবে, তাদের মোবাইলে পৌঁছে যাবে এসএমএস অ্যালার্ট! সব মিলিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকা এবং বেরোনোর ওপর নজরদারি থাকবে অভিভাবকদেরও। বিদ্যালয়ে এই ডিজিটাল হাজিরা পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি অভিভাবকেরাও।