জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধূপগুড়িকে নতুন মহকুমা ঘোষণা। জোড়া ব্লক নয়া ধূপগুড়ি মহকুমায়। এলাকা পুনর্বিন্যাস করা হল জলপাইগুড়ি জেলার। জলপাইগুড়ি জেলার জলপাইগুড়ি মহকুমায় থাকছে ৫টি ব্লক। যথাক্রমে কোতয়ালি, ময়নাগুড়ি, রাজগড়, নিউ জলপাইগুড়ি ও ভক্তিনগর। মাল মহকুমায় থাকছে ৩টি ব্লক- মাল বাজার, মেটেলি ও নাগরাকাটা। আর নতুন তৈরি হওয়া ধূপগুড়ি মহকুমায় থাকছে দুটি ব্লক- ধূপগুড়ি ও বানারহাট। গতকালই ধূপগুড়িকে নতুন মহকুমা ঘোষণার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল নবান্নের তরফে। এদিন জারি করা হল নির্দেশিকা। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা ঘোষণার দাবি জানাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি জেলার মানুষের কাজকর্মের সুবিধার জন্যই এই দাবি ওঠে। কারণ বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্রে সদরে আসতে হলে, অনেকটা দূর আসতে হত। মহকুমা হলে সেক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হয়। গত অক্টোবরেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আটকে ছিল সেই অনুমোদন প্রক্রিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষে সেই আইনি জট কাটে। ধূপগুড়ি মহকুমার গঠনের প্রস্তাবে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিলমোহর পড়ে। ক্যাবিনেটে পাশ হয় ধূপগুড়িকে মহকুমা গঠনের প্রস্তাব। ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন,"আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আজ মা, মাটি মানুষ সরকার অবশেষে ধুপগুড়ির মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে । উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই, ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করার উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। ১২ অক্টোবর, আমি ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত করেছিলাম যে প্রস্তাবটি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হয়েছে। আজ, ধূপগুড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে মহকুমার মর্যাদা পেয়েছে। এই মাইলফলক স্থানীয় বাসিন্দাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা করবে। পাশাপাশি, এটি নতুন সুযোগও তৈরি করবে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবাগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে।"ওদিকে ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "কথা দিয়ে কথা রাখার নাম-ই হল তৃণমূল। সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে, আমি ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছিলাম। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। আজ এটা ঘোষণা করতে পেরে আমি সম্মানিত। যদিও অনেকটা দূরে আছি, কিন্তু আজকে আমি চোখ বন্ধ করলেই, আনন্দে উচ্ছল অনেক হাসিমুখ দেখতে পাচ্ছি।"