'ওঁর ১২টা আসন আমরা আগেই নিয়েছি, আরও ১২টা গেলেই উনি চুপ করে যাবেন'! মমতাকে দিলীপ...
২৪ ঘন্টা | ২০ জানুয়ারি ২০২৪
অয়ন ঘোষাল: প্রতিদিনের মতো আজও ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবং যথারীতি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন একেবারে নিজের ঢঙে। কী কী বললেন তিনি? আইএসএফ-এর আর্জি খারিজ প্রসঙ্গে
আমাদের আদালত অনুমতি দিয়েছিল। এক্ষেত্রে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে অনুমতি দেয়নি। ওই জায়গাটা প্রতীক হয়ে গিয়েছে। যেহেতু তৃণমূল ওখানে সভা করে, এখন সবাই করতে চাইছে। ওটা সভা করার মতো জায়গা নয়। রাস্তা বন্ধ করে এভাবে সভা কোনো সভ্য দেশে হয় না। এটা তৃণমূল শুরু করেছে। বাকি পার্টিরও অধিকার হয়ে যায়-- যদি একজন করে, আমরাও কেন করব না। সভা করার জায়গার তো অভাব নেই। রাম-দিবসে একাধিক অনুষ্ঠানে আদালতের অনুমতি প্রসঙ্গেদুর্ভাগ্যের বিষয়। বিশ্ব জুড়ে উৎসব হবে। মানুষ এটা দেখবে। ফুটবল ক্রিকেট বিশ্বকাপে বড় স্ক্রিন লাগানো হয়। মানুষ দেখে। এটাও তো একটা উৎসব। সেটাতেও কোর্টে গিয়ে অনুমতি নিতে হচ্ছে। তাতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এটা চিন্তার বিষয়। ওইদিন সংহতি মিছিল করবেন। তাতে সমস্যা নেই? কাদের নিয়ে মিছিল করবেন? যারা উৎপাত করে, তাদের নিয়ে। সেটা হবে, আর এলইডি লাগানো যাবে না?শেখ শাহাজাহানকে এখনও খুঁজে পাওয়া গেল না?খুঁজতে না চাইলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। পুলিস দিল্লি থেকে, কাশ্মীর থেকে লোক ধরে নিয়ে আসছে। আর সন্দেশখালির মতো ছোট্ট গ্রামে লুকিয়ে থাকা একটা লোককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? ওকে সবাই চেনে। তা-ও পাওয়া যাচ্ছে না। তা হলে ঘোষণা করে দেওয়া হোক, ও বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। যাদের ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারাই তো লুকিয়ে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিস ওকে ধরবে, এটা যদি কেউ মনে করে, তাহলে সেটা বাতুলতা। স্থানীয় মানুষ জানতে পারছে, আমরা জানতে পারছি, প্রেস জানতে পারছে। শুধু পুলিস জানতে পারছে না। তাদের কি আদৌ ধরার ইচ্ছা আছে? তাদের যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে পার্টি উঠে যাবে তো! অধীর নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ প্রসঙ্গেআগামী ভোট বিজেপি জিতছে, জিতবে, একাই লড়বে। কে দুই নম্বরে আসবে, তার লড়াই চলছে। এতে বিজেপির কিছু যায় আসে না। আমাদের দালাল ধরারও প্রয়োজন নেই। ডি এ মিছিলে পুলিসের বাধা, জোর করে রুটবদলের অভিযোগ প্রসঙ্গেএক তো এরা নিজেরা অনুমতি দেয় না। কোর্টে যেতে হয়। কোর্ট অনুমতি দিলেও এরা বাধা দেয়। হকের লড়াই লড়তে দিচ্ছে না। এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। সিপিএম একসময় এই চেষ্টা করেছিল। আজ তাদের পরিণতি দেখুন। উত্তরে বিজেপি সক্রিয়, দক্ষিণে বিজেপি কোথায়?উত্তরে হিংসা কম, তাই মানুষ বিজেপির সঙ্গে থাকতে পেরেছেন। দক্ষিণে, বিশেষত কলকাতার আশেপাশে গুন্ডামি, ভোট লুঠ। মানুষ ভয় পায়। তবু বলছি, আজ আরামবাগে আসুন, দেখে যান, মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছে কি না।অযোধ্যা প্রসঙ্গেসারা দেশের মানুষ যেতে চাইছে। কোটি কোটি মানুষ। ছোট্ট শহর। সবাই একসঙ্গে গেলে ব্যবস্থা করা অসম্ভব। দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। তাই বিভিন্ন রাজ্যকে আলাদা আলাদা সময় দেওয়া হয়েছে ২২ তারিখের পর। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আস্থা স্পেশাল ট্রেন চলবে। ২৯ জানুয়ারি হাওড়া থেকে প্রথম আস্থা স্পেশাল ছাড়বে। ৫ টা স্পেশাল ট্রেন। তারা ১৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটবেন। ট্রেনে ওঠা থেকে বাড়ি ফেরার পর্যন্ত দায়িত্ব কেন্দ্র নেবে। ওখানে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। বাংলা ভাষায় তাঁরা কথা বলবেন। সাহায্য করবেন। গোটা দেশকে আলাদা ৪ টি জোনে ভাগ করে আলাদা রঙের আই কার্ড দেওয়া হবে।মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, '৪২-য়ে ৪২', সেই প্রসঙ্গেউনি ২০১৯ সালেও এক কথা বলেছিলেন। ওঁর ১২টা আসন আমরা আগেই নিয়ে নিয়েছি। আরও ১২টা গেলেই উনি ধাক্কা খেয়ে নিজেই চুপ করে যাবেন। আর দিল্লির কথা বলবেন না। পার্টি বাঁচিয়ে রাখুন, নেতাদের বাঁচান। যেভাবে উইকেট পড়ছে আর যেভাবে ইডি সিবিআই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, ভোটের আগে আর নেতা থাকবে? মানুষ চাইছে, বাংলা থেকে এরা পরিষ্কার হোক।