• নাগা সাধুরা প্রত্যাহার করলেন অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র...
    ২৪ ঘন্টা | ২০ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামমন্দিরে রামলালার মূর্তিপ্রতিষ্ঠায় দেশ জুড়ে সাধুসমাজে আনন্দের হিল্লোল খেলে যাবে বলে যেমনটা মনে করা হচ্ছিল, দিন যত এগিয়েছে, তত দেখা গিয়েছে, বিষয়টি মোটেই তেমন ঘটেনি। বরং সাধু-সন্ন্যাসীদের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে নানা আপত্তি উঠেছে, বেরিয়ে এসেছে ক্ষোভ, অসন্তুষ্টি।  

    কিছুদিন আগে, গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক শুভসূচনার প্রাক-মুহূর্তে সেই সময়ে গঙ্গাসাগরে অবস্থান করা নাগা সাধুদের কাছে অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হল, কিন্তু বরফ গলল না। গঙ্গাসাগরের নাগা সাধুরা অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহার করলেন।কেন গঙ্গাসাগরের নাগা সাধুরা অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহার করলেন?মূলত জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলার আগেই সাগরের নাগা সাধুদের অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও সাধুকুলের আচার্য গুরুর সম্মান পাননি বলে মনে করেছেন। এছাড়া, সেখানে চার মঠের জগৎগুরু শঙ্করাচার্যদেরও সম্মাননা নেই। তাই নাগা সাধুরা অযোধ্যায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।নাগা সাধুরা জানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে সাধু সম্প্রদায়ের মানুষদের সম্মান নেই, সেখানে নাগা সাধুরাও নেই! প্রাপ্ত সম্মান না পাওয়ায় অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনে তাঁরা যাচ্ছেন না। নাগা সাধুরা প্রশ্ন তোলেন , এ আবার কী রকম রামমন্দির উদ্বোধন? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাই পুজো করবেন, একাই উদ্বোধন করবেন! সাগরের নাগা সাধুরা অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে তাই যাবেন না। পাশাপাশি উদ্বোধনের দিন পাঁচটি করে প্রদীপ জ্বালানোর যে-আর্জি করা হয়েছে, তা-ও তাঁরা জ্বালাবেন না বলে জানিয়েছেন। একাধিক বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগা সাধুরা।প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই উদ্বোধন। তবে এর দুদিন আগে, ১৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রামমন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান। ১৬ জানুয়ারি হয়েছে দশবিধ স্নান, বিষ্ণুপূজা, সরযূতীরে  গোদান। পরদিন ১৭ জানুয়ারি রামলালার মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা অযোধ্যায় পৌঁছেছে। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরযূর জলপূর্ণ কলস। ১৮ জানুয়ারি গণেশ পুজো দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অংশের আচারও হয়েছে। ছিল ব্রাহ্মণবরণ বা বাস্তুপূজার মতো অনুষ্ঠান। ১৯ জানুয়ারি নবগ্রহ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, হয়েছে বিশেষ হোমও। আজ, ২০ জানুয়ারি সরযূর জলে মন্দির ধোয়া হবে, পরে হবে অন্নাধিবাস। আগামীকাল, ২১ জানুয়ারি রামলালাকে ১২৫ কলসজলে স্নান করানো হবে। ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা-র মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান শুরু।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)