• ঢাকার বইমেলায় কলকাতার প্রকাশকদের ডাকার উদ্যোগ
    আজকাল | ২১ জানুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সেতুবন্ধনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বই। দেশের সঙ্গে দেশের। মানুষের সঙ্গে মানুষের। শনিবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় "বাংলাদেশ দিবস"-এর আলোচনাসভায় এই বইয়ের গুরুত্বই উঠে এল আলোচকদের মুখে। সেমিনারে বিষয় ছিল, সংযোগের সেতুবন্ধন: সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পের ভূমিকা। যে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মেলবন্ধনে বাংলাভাষার সঙ্গে উঠে এসেছে বইয়ের গুরুত্ব। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ বলেন, "ঢাকার বইমেলায় যাতে কলকাতার প্রকাশকরাও যুক্ত হতে পারেন সেবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানাব।" এদিন এসবিআইয়ের অডিটোরিয়ামটি আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিল "এক টুকরো বাংলাদেশ।" এদেশের মানুষের সঙ্গে দর্শকাসনে হাজির ছিলেন বহু বাংলাদেশী নাগরিক। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতির সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, "সংযোগের এই সেতুবন্ধনে বইয়ের একটি ভূমিকা রয়েছে। এখানকার পাঠকরা বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের পাঠকরা এখানকার লেখা পড়তে পারছেন।" কবি ও পশ্চিমবঙ্গ কবিতা একাডেমির চেয়ারম্যান সুবোধ সরকার বলেন, "এই বইমেলা বাংলাদেশকে ছাড়া হয়নি বা হবেও না। এই বইমেলাই হচ্ছে আসল মন্দির ও মসজিদ।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের কথায়, "যে কোনও ভালো বই আত্মকথনের সুযোগ করে দেয়।" পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানান, "বাংলাদেশের প্রচুর প্রকাশক এখানে আসছেন। বাংলাদেশের বইয়ের স্টল এখানে বাড়ছে। আমরা চাই কলকাতার এই আন্তর্জাতিক বইমেলা বাংলাদেশেও হোক।"গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বইমেলা করার বিষয়টি অনেকটাই এগিয়েছিল।‌ কিন্তু সেদেশের নির্বাচনের জন্য পিছিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশ বাংলা অ্যাকাডেমির মহা পরিচালক কবি মহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, "বাংলাদেশে যে বইমেলা হওয়ার কথা ছিল তা অবশ্যই আমরা করব।" বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানান, "বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়টা কেটেছে এখানেই।" বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যকর্মী রামেন্দু মজুমদার ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক চিন্ময় গুহ। সঞ্চালনা করে অনুষ্ঠানটি এগিয়ে নিয়ে যান কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।এদিন আলোচনাসভার পর আয়োজিত হয় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
  • Link to this news (আজকাল)