'হে প্রভু, শুধু ওই দিন যেন বেঁচে থাকি', রামলালার দর্শনে অধীর আগ্রহে মনোজ
আজ তক | ২১ জানুয়ারি ২০২৪
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রাম-আবেগে ভাসছে দেশ। সেই আবেগের সুর শোনা গেল জনপ্রিয় গীতিকার-লেখক মনোজ মুন্তাশিরের গলায়। 'সাহিত্য আজতক ২০২৪'-এর মঞ্চে রাম মন্দিরকে নিয়ে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করলেন মনোজ। বললেন, 'বিশ্বাস হচ্ছে না, সত্যিই রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমার চোখে আনন্দাশ্রু।'
শ্রী রামের দর্শন প্রসঙ্গে মনোজ বলেছেন, 'আর কয়েক ঘণ্টা পর রামের প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। এই মুহূর্তকে ঘিরে নানা আবেগ তৈরি হয়েছে চারপাশে। আমিও বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। আমি এতটাই আবেগপ্রবণ যে, রীতিমতো ভীত।' কিন্তু কিসের ভয়? মনোজের কথায়, ভয় একটাই যে, আমার প্রাণ যেন না চলে যায়। ওই দিনটির জন্য বাঁচিয়ে রাখো প্রভু।
'সাহিত্য আজতক ২০২৪'-এর মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দেন মনোজ। রাম মন্দির নির্মাণ হবে, এটা কি ভাবতে পেরেছিলেন? এই প্রশ্ন শুনে মনোজ বলেন, 'সত্যি বলতে কী, আমি কখনও তা ভাবিনি। তবে আশাবাদী ছিলাম। আমার জন্ম উত্তরপ্রদেশে। অমেঠীতে বেড়ে ওঠা আমার। কিন্তু কখনও ভাবিনি। আজ যখন দেখলাম রাম মন্দির তৈরি হয়েছে, যেন স্বপ্নপূরণ হল।'
মনোজ আরও বলেছেন, 'একটা সময় দেখেছি যখন কেউ জয় শ্রীরাম বলতেন, লোকেরা তাঁকে হেয় করতেন...রামের পুজো করে আমরা সুখ পাই।' রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যাঁরা যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের কটাক্ষ করেছেন মনোজ।
অন্য দিকে,রামের মাহাত্ম্য নিয়ে 'সাহিত্য আজতক লখনও ২০২৪' এর মঞ্চে কথা বললেন স্বনামধন্য লেখক আচার্য প্রশান্ত। শনিবার থেকে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহরে শুরু হয়েছে 'সাহিত্য আজতক লখনও ২০২৪'-এর দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার পর্যন্ত চলবে ২ দিনের এই কর্মসূচি। লখনওয়ের গোমতী নগরে আম্বেদকর মেমোরিয়্যাল পার্কে হচ্ছে এই অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন আচার্য প্রশান্ত। আইআইটি দিল্লি এবং আইএমএম আহমেদাবাদ থেকে পড়াশোনা করেছেন আচার্য প্রশান্ত। রাম সম্পর্কে নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। আচার্য বলেছেন, এ জন্য মৃত্তিকা উপনিষদ সম্পর্কে আরও জানতে হবে। যেখানে রামকে হনুমানজি বলেছেন যে, তিনি রামের সেবায় সারাজীবন নিয়োজিত থেকেছেন। হনুমানজি বলেছেন, আপনার দেহ দেখেছি, শরীর দেখেছি, আপনার লীলা দেখেছি। আপনার কোন রূপটি সবেচয়ে মহৎ, সত্য, বাস্তব, মুক্তি। তখন রাম বলেন, হে হনুমান, তুমি যদি আমার সত্যিটা জানতে চাও, তা হলে শোনো, আমি বেদান্তে বাস করি। যাঁরা আমায় সত্যিকারের জানতে চান, তাঁরা বেদান্তে আসবেন। আমার চারটি স্তর বা প্রকার রয়েছে। আমি বেদান্তে বাস করি, এটা আমার সত্য এবং বড় রূপ। যাঁরা সত্যিই আমায় খুঁজে পেতে চান, তাঁদের বেদান্তে আসা উচিত।