'চৌর্যবৃত্তি'' দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিলেন দেশের শিক্ষামন্ত্রী...
২৪ ঘন্টা | ২১ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্লেজিয়ারিজম। ঘোরতর অপরাধ সন্দেহ নেই, তবে তা খ্যাত-অখ্যাত অনেকেই করেন। এবং করতে-করতে তা এমনই সহজ স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সেটা অনেকটা লঘু পাপের বর্গে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এহেন লঘুপাপের জন্য় গুরুদণ্ড? তা-ও আবার নিজেই নিজেকে সেই দণ্ডদান? হ্যাঁ, এমন আশ্চর্য ঘটনাই ঘটেছে। তবে, তা এদেশে নয়। নরওয়েতে।
স্নাতকোত্তরের গবেষণামূলক প্রবন্ধে দুজন শিক্ষার্থীর গবেষণাকর্ম থেকে প্লেজিয়ারিজম বা চৌর্যবৃত্তির দায়ে পদত্যাগ করেছেন নরওয়ের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষামন্ত্রী স্যান্ড্রা বোর্চ। গতকাল, শুক্রবার চৌর্যবৃত্তির দায় মাথা পেতে নিয়ে মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। শুক্রবার তড়িঘড়ি করে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ৩৫ বছর বয়সী স্যান্ড্রা বোর্চ। সেখানে তিনি বলেন, আমি একটি বড় ভুল করেছি। আমি ঋণস্বীকার না করেই অন্যের গবেষণালব্ধ তথ্য ব্যবহার করে ফেলেছি। এর জন্য আমি দুঃখিত।শিক্ষামন্ত্রী স্যান্ড্রা বোর্চের এই চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি নরওয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমই প্রথমে সামনে নিয়ে আসে। সেইসব প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ট্রমসো ইউনিভার্সিটিতে তেল শিল্পে নিরাপত্তাবিষয়ক বিধিবিধানের উপর গবেষণা করেন বোর্চ। তাঁর করা স্নাতকোত্তরের গবেষণামূলক এই প্রবন্ধের সঙ্গে দুজন শিক্ষার্থীর গবেষণাকর্মের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এমনকি তাঁদের করা ভুলগুলো পর্যন্ত তাঁর গবেষণায় হবহু ব্যবহৃত হয়েছে। এবং এতকিছুর পরেও মন্ত্রীমশাই তাঁর লেখায় ওই দুই শিক্ষার্থীরকে কোনো ক্রেডিট দেননি!