জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গোটা দেশ থেকে আসছেন কয়েক হাজার মানুষ। অতিথিরা আসছেন কমপক্ষে ১০০ বিদেশি রাষ্ট্র থেকেও। তাদের আসা যাওয়া, নিরাপত্তার জন্য এলাহি ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছিলেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় আসবেন না। ওই দিনটি পেরিয়ে যাওয়ার পর আসুন। কোনও বাধা নেই। সেই কথা না মেনে পায়ে হেঁটে, যানবাহনে চড়ে অযোধ্যায় দিকে রওনা দিয়েছেন বহু মানুষ। ওইদিন অযোধ্যায় আগত মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছে ইসকন ও নিহং শিখদের লঙ্গর। ভক্তরা এখানে টাটকা খাবারের স্বাদ পাবেন।
কী আছে ভক্তদের জন্য খাবারের মেনুতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের খাবারের অভ্যাস বিভিন্ন। সেকথা মাথায় রেখে খাবারের মেনুতে রাখা হয়েছে খিচুড়ি, কড়ি চাওল, পুরি, আচার পাপড়। এছাড়াও থাকে চা, গরম দুধ। নিহং শিখ গোষ্ঠীর সদস্য হরজিত্ সিং বলেন, দুমাস ধরে এই পরিষেবা চলবে। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা যে লড়াই করেছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী এই লঙ্গর।কীভাবে কাজ করেছে এই লঙ্গর? হরজিত্ সিং বলেন, রোজ এখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে খাবার দেওয়া হয়। প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার অযোধ্যায় ভক্তদের সংখ্যা বাড়বে। অন্যদিকে, ইসকনের মুখপাত্র গোবিন্দ দাস বলেন, রোজ ৫ হাজার ভক্তকে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে।উল্লেখ্য, সোমবার ২২ জানুয়ারি আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের নেতৃত্বে পুরোহিতদের একটি দল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান অনুষ্ঠান করবেন। অনুষ্ঠানে থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ওইদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন অমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৭ হাজার অতিথিকে। পাশাপাশি বিদেশের ১০০টি দেশ থেকে অতিথিরা আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের কথা মাথায় রেখে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে পাঁচ স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস, সিআরপিএফ, স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্স, প্রাদেশিক আর্মড কনস্টাবুলারি। গর্ভগৃহের দায়িত্বে থাকছে সিআরপিএফ। তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে অযোধ্যাকে। থাকছে রাজ্যের ১৪০০ পুলিস। অযোধ্যায় মন্দিরগামী সব রাস্তা হবে গ্রিন করিডোর। বসানো হয়েছে ১০ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা। এদের মধ্যে বহু ক্যামেরা চলবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উপরে ভর করে।