রাম মন্দিরের উদ্বোধনের উত্তেজনা, দীপাবলীর থেকেও বেশি প্রদীপের বরাত মৃৎশিল্পীদের
২৪ ঘন্টা | ২১ জানুয়ারি ২০২৪
ভবানন্দ সিংহ: রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দীপাবলীর থেকেও বেশি প্রদীপের বরাত পেয়েছেন মৃৎশিল্পীরা। সামাল দিতে মাটি মাখাতে যন্ত্রের ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।রাম মন্দিরের উদ্বোধনে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। বাজারে অমিল মাটির প্রদীপ। অর্ডার দিয়েও যোগান পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। প্রবল ঠান্ডায় প্রদীপ তৈরি করতে মাটি মাখানোর মেশিনেই ভরসা। রাম মন্দীর উদ্বোধনের আগে অকাল দীপাবলীর প্রদীপ যোগান দিতে যেন রামময় রায়গঞ্জের কুমোড়পাড়া। ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের।
রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ পাল পাড়াই হোক বা কাকপাড়া, সর্বত্র প্রদীপের যোগান দিতে কার্যত নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন মৃৎশিল্পীরা। কাকপাড়ায় ডিজেল চালিত মেশিনে মাটি মাখানোর কাজ চলছে। আবার বৈদ্যুতিক মেশিনে চলছে প্রদীপ তৈরির কাজ। লক্ষ লক্ষ প্রদীপ তৈরি করেও সামাল দিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। দীপাবলীর চেয়েও অনেক গুন বেশি চাহিদা রয়েছে প্রদীপের।মৃৎশিল্পীদের দাবী, দীপাবলীর সময়েও ১ হাজার প্রদীপ প্রতি ৬০০ টাকা দর ছিল। কিন্তু রাম মন্দীর উদ্বোধন ঘিরে সেই মাটির প্রদীপের দাম তারাই ৮০০ থেকে হাজার টাকা প্রতি হাজার পিসের দাম ধার্য করলেও তাতেও পিছপা হচ্ছেন না গ্রাহকেরা।শুধু তাই নয়, রবিবারের মধ্যে দ্রুত বানিয়ে ক্রেতাদের হাতে প্রদীপ তুলে দেওয়াটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তারা। তাই রাতারাতি প্রদীপ বানাতে মাটি মাখানো থেকে শুরু করে প্রদীপ তৈরি সব ক্ষেত্রেই মেশিনের সাহায্য নিতে হচ্ছে বলে তাদের দাবী।অন্যদিকে রায়গঞ্জের দোকানিদেরও দাবী, দীপাবলীর চেয়েও অনেক গুন বেশি চাহিদা রয়েছে প্রদীপের। অনেক গ্রাহককই শেষ মুহুর্তে এসে না পেয়ে ফিরিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রদীপের সঙ্গে রাম সম্পর্কিত পতাকা সহ অন্যান্ন সামগ্রীরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বলে তাদের দাবী।পাশাপাশি ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন কার্যত অকাল দীবাবলী পালন, তাই এভাবে সর্বস্তরের সনাতনী হিন্দুরা প্রদীপ জ্বালিয়ে পালনে মেতেছেন। আর দোকানে গিয়েও প্রদীপের যোগান পাচ্ছেন না বলে দাবী বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের। এবং এই উৎসব পালনে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে তৃনমুল-কংগ্রেস-বামফ্রন্ট সবাইকে মিলিত হতে আহ্বান জানিয়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।এদিকে প্রদীপের এই বিপুল চাহিদা সোমবার গোটা দেশের সঙ্গে রায়গঞ্জ ও উত্তর দিনাজপুরকেও উৎসব মুখর করে তুলবে বলে দাবী তাদের।