মিল্টন সেন,হুগলি: এই প্রথম মিলল দৈনন্দিন কাজের গণ্ডির বাইরে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ। হুগলি জেলার জনশিক্ষা প্রসার দপ্তরের অভিনব উদ্যোগ। সরকারি হোমের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণ করল চার জেলার ১৬ টি সরকারি হোমের শতাধিক ছাত্র ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের জনশিক্ষা প্রসার এবং গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের অধীনে কল্যাণ আবাস সমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হুগলি জেলার জনশিক্ষা প্রসার দপ্তর। উত্তরপাড়া জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরীতে আয়োজিত এই সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে ২৫০ জনের বেশি ছাত্র ছাত্রীরা। গান, নাটক, সমবেত নৃত্য, এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগী ছাত্র ছাত্রীরা তুলে ধরল তাঁদের সাংস্কৃতিক শৈলী। অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশিতে ঝলমল করে উঠেছিল পিংকি, মামনিদের মুখ। শুধু তারা নয়, খুশি সকলেই। কারণ, এদিন পড়াশোনা, বই খাতার বাইরে বেরিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে থাকা প্রতিভাগুলি মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। প্রতিযোগিতা হলেও তা ছিল একেবারে পিকনিকের মতই। হুগলি জেলার জনশিক্ষা প্রসার আধিকারিক, সুদীপ্তা মজুমদার জানিয়েছেন, "হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে আগত ১৬টি হোমের ২৫০-র বেশী ছাত্র ছাত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পরিদর্শকরা। সকলকে নিয়ে আগতদের সংখ্যাটা প্রায় চারশ। অংশগ্রহণকারী সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের হেলথ চেক আপেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাছাড়া উত্তরপাড়া পুরসভার তরফে দুর থেকে আসা ছাত্র ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।" বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এবং চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অমিতেন্দু পাল, শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য সুবীর মুখার্জি, উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব প্রমুখ। সেভ দ্য চাইল্ড ঠাকুরপুকুর হোমের তরফে জানানো হয় এই ধরনের অনুষ্ঠান হোমে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক বিকাশের সহয়তা করে। পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের মধ্যে থাকা পাঠ্যক্রম বহির্ভূত নানান মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অনুষ্ঠান হলে ছাত্রছাত্রীরা আরও উৎসাহিত হবে। অনুষ্ঠানে শেষে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়।