সঙ্গী রাজ্য কমিটির ২০ সদস্য, নেতাজি ইন্ডোরে মাটিতে বসেই সভা নওশাদের!
২৪ ঘন্টা | ২১ জানুয়ারি ২০২৪
মৌমিতা চক্রবর্তী: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সভা করল ISF। গ্যালারি ফাঁকা, ছিল না চেয়ার-টেবিলও। দলের রাজ্য কমিটির মাত্র ২০ জন সদস্যকে নিয়ে মাটিতেই বসেই ২৪-র ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে ফেললেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী!
ঘটনাটি ঠিক কী? আজ, বুধবার ISF-র প্রতিষ্ঠাদিবস। ধর্মতলায় প্রতিবছর যেখানে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল, সেই ভিক্টোরিয়া হাউসে সামনেই প্রতিষ্ঠাদিবসে সভা করতে চেয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকীর দল। শর্তসাপেক্ষে সেই সভার অনুমতিও দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপরই মামলা গড়ায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।এদিন নেতাজি ইন্ডোরে সভা শেষে ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, 'মানুষকে সচেতন করছি। মানুষ যদি ডাকে সাড়া দেন, আমরা আলোচনায় থাকব। মানুষ সাড়া না দিলে আমরা কিছুই নয়। মানুষই শেষ কথা বলবে গণতন্ত্রে। মানুষের উপর ভরসা রাখছি, তাঁরা দেখতে পাচ্ছে, তাঁদের অধিকারের জন্য কারা লড়াই করছে'।নওশাদের আরও বক্তব্য, আগামী দিনে আমরা জনপ্রতিনিধিকে লোকসভায় পাঠাব। যখন কৃষক বিরোধী বিল আসবে বা বিভিন্ন বিল আসবে। তখন টিকটক বা সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকবে না, যেই শাসকের থাকুক না কেন, জনবিরোধী বিল আসলে বিরোধিতা করবে'। সঙ্গে বার্তা, 'অ-বিজেপি, অ-তৃণমূল যাঁরা আছে, তাঁদের সবার জন্য হাত বাড়িয়ে রেখেছে। তবে হ্যাঁ, ধরি মাছ না ছুঁই পানিতে আমরা নেই। তৃণমূল চালচোর, গোরুচোর, মিড-ডে চুরি যাঁরা করেছেন, তাঁরা যে জোটে থাকবে, সেই জোটে আমরা কোনওমতেই থাকব না'।এদিকে আগামীকাল সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ISFর জোটশরিক সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'হাইকোর্ট বসেছিল, ১৫ দিনের নোটিশ লাগে মিটিং-মিছিল করতে গেলে। মমতা যে মিছিলের ঘোষণা করলেন, ক'দিনের নোটিশ দিয়েছেন? আমাদের ব্রিগেড গীতাপাঠের অনুমতি ছিল। DYFI-র সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না'।সেলিমের মতে, 'আমরা লড়াই করেছি। ISF-কেও লড়াই করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করতে হবে! দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, কেন্দ্র ও রাজ্য যেভাবে গণতন্ত্রকে শেষ করছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে'।