• ৫০ পেরিয়ে কিশোর ভারতী, চার জনকে সাহিত্য সম্মান
    আজকাল | ২২ জানুয়ারি ২০২৪
  • রিয়া পাত্রদেখতে দেখতে বাংলা সাহিত্যে অর্ধ শতবর্ষ পার করে ফেলেছে কিশোরভারতী। চার দশক কাটিয়ে ফেলেছে পত্রভারতীও। বলার অপেক্ষা রাখে না, দশকের পর দশক এই দুই পত্রিকা বাঙালি পাঠকের কাছে রুচি ও মননের মেল বন্ধনের এক বিশেষ ঠিকানা। পত্রভারতী ও দীনেশ চন্দ্র সেন্টিনারি ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, পূর্বসূরিদের প্রতি উৎসর্গীকৃত চারটি সাহিত্য সম্মান তুলে দিল কথা শিল্পী, কবি, চিত্রশিল্পী এবং নবীন প্রতিভার হাতে। রবিবার এসবিআই অডিটোরিয়ামে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রচেত গুপ্ত, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সৈকত মুখোপাধ্যায় ইন্দ্রনীল স্যান্যাল, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, জয়দীপ চক্রবর্তী, হিমাদ্রী কিশোর দাশগুপ্ত সহ বহু গুণীজন। দীনেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার পেলেন কথাশিল্পী দীপান্বিতা রায়, সাধনা স্মৃতি পুরস্কার পেলেন কবি আশিস কুমার মুখোপাধ্যায়, দিলীপ স্মৃতি পুরস্কার পেলেন চিত্রশিল্পী সায়ন পাল এবং অনীশ দেব স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেওয়া হল বিবেক কুণ্ডুর হাতে। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রাজা ভট্টাচার্যের গান দিয়ে। সেই সুরের মূর্ছনাই এগিয়ে নিয়ে যায় সমগ্র অনুষ্ঠান। পুরস্কার প্রাপকরা শোনালেন গোড়ার দিনের কথা। আপ্লুত কথায় তাঁদের সকলেই একটা কথা বললেন, গত কয়েক বছরে সকলকে একেবারে আপন করে নিয়েছে পত্রভারতী। কাজে উৎসাহ থেকে সময়ে কাজ না পেয়ে বকুনি, পরিবারের সদস্যদের মতো এই প্রকাশন সংস্থা আগলে রেখেছে সকলকে। একই কথা শোনা গেল বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তর গলায়। তিনি এদিন বলেন, "কিশোরভারতীর সঙ্গে আমার এই মুহূর্তে সম্পর্ক বকুনির সম্পর্ক। যতক্ষণ না লেখা দেওয়া হয়, লেখা কই, কেন দিইনি, এখুনি দিতে হবে ইত্যাদি। একটি পত্রিকার সঙ্গে যখন একজন লেখকের সম্পর্ক বকুনির হয়, এবং লেখক যখন লেখা দেন, তখনই বোঝা যায় সেই পত্রিকাটি আসলে লেখকের কাছে, পাঠকের কাছে এবং সম্পাদকের কাছে কত মূল্যবান।" শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, "দিনে দিনে তরুণ লেখকদের জন্য কঠিন হচ্ছে সময়। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী পৃথিবীর সব লেখা। সব কথা বলা হয়ে গিয়েছে। নতুন পথ আনতে নিজের ভেতরে ক্রমাগত অন্তহীন মন্থন দরকার ভাষা নিয়ে, শব্দ নিয়ে। পুরনো গল্পকে নতুন ভাবে বলতে হবে।" পুরস্কার প্রদানের সঙ্গেই এসবিআই অডিটোরিয়ামে এদিন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের "শীর্ষেন্দুর দশে দশ" , সমরেশ মজুমদারের "অশেষ সমরেশ", সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের "ছোটদের রকমারি", ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়ের "জগুমামা রহস্য সমগ্র ৫", বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "বিভূতিভূষণ গল্প সমগ্র ১,২", বরুণ চন্দের "সত্যজিৎ কথা" সহ পত্রভারতীর একগুচ্ছ বইয়ের উদ্বোধন হয়। একদিকে গিল্ড, বইমেলা অন্যদিকে কিশোরভারতীর অনুষ্ঠান, কীভাবে একসঙ্গে সামলান সবকিছু? ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলছেন, " দুটো জিনিসের সেটআপ আলাদা। দুদিকে পৃথক দল আছে, যারা কাজ করে। দুটো কাজ করতে একটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছে আমার। তাই অসুবিধে হয় না। " সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন চুমকি চট্টোপাধ্যায়।
  • Link to this news (আজকাল)