• 'রাম আগুন নয়, প্রেরণা, বিবাদ নয়, সমাধান, ' রামমন্দিরে আবেগপ্রবণ মোদী
    আজ তক | ২২ জানুয়ারি ২০২৪
  • 'রাম আগুন নয়, প্রেরণা'। রামমন্দির উদ্বোধনের পর নিজের ভাষণে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায় উঠে এল রামকে ঘিরে দেশের সংস্কৃতির কথা। দেশের সার্বভৌমত্ব ও লোকাচার, ইতিহাস কিছুই বাদ গেল না এই গুরুত্বপূর্ণ দিনের ভাষণে। বললেন, 'অনেকে বলেছিল রামমন্দির হলে দেশে আগুন লেগে যাবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। রামমন্দির সদ্ভাব ও সমন্বয়ের প্রতীক। রামমন্দির সমাজের সমাজের সবাইকে উজ্বল ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। রাম আগুন নয়, রাম প্রেরণা। রাম বিবাদ নয়, রাম সমাধান। রাম শুধু আমাদের নয়, রাম সবার। রাম শুধু বর্তমান নয়, রাম অনন্তকাল। গোটা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে রাম।'

    সোমবার অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পর উপস্থিতদের উদ্যেশ্যে ভাষণ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপরই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তারপর বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুরুতেই তিনি বলেন, 'দশকের প্রতীক্ষা শেষ। সবার মনোকামনা পূর্ণ হয়েছে। ঐশ্বরিক দিন। বহু কথা বলার, কিন্ত কণ্ঠ অবরুদ্ধ। আমার শরীর স্পন্দিত। চিত্ত এখনও লীন। আমাদের রামলালা আর তাঁবুতে থাকবে না। আমাদের রামলালা এখন থেকে দিব্যমন্দিরে থাকবে। এই ক্ষণ অলৌকিক। পবিত্র। এই সময় প্রভু রামের আশীর্বাদ। ২২ জানুয়ারির এই সূর্য একটা অদ্ভুত আভা নিয়ে এসেছে। এটা শুধু ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়। নতুন কালচক্রের শুরু।' 

    মোদীর ভাষণে রামমন্দির নিয়ে একাধিক বিতর্ক ও দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের বিষয়ও উঠে আসে। তাঁর কথায়, 'গোলামির মানসিকতা ছেড়ে রাষ্ট্র উঠে এসেছে। ভারতে এখন অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া রাষ্ট্র। ভারত নতুন ইতিহাস রচনা করছে। আজ থেকে হাজার বছর পরেও আজকের এই তারিখের কথা মনে রাখবেন সবাই। এটা রামের কৃপা, যে আমরা এটা নিজেদের চোখে দেখতে পাচ্ছি। এই সময় সামান্য নয়। এটা কালের চক্রে সর্বকালের চিরন্তন রেখা।'

    এরপরই রামমন্দিন নিয়ে দীর্ঘ আইনি জটিলতার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, 'ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাই। ন্যায়ের পর্যায়ে প্রভু রামের মন্দিরও আইনি বিধি মেনেই তৈরি হয়েছে। প্রভু রাম ভারতের আত্মার সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। ভারতে যেকোনও মানুষের আত্মায় রাম। যা আমাদের একত্র করে।'

    এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, রামমন্দির স্থাপনা শুধুই বিজয়ের নয়, বিনয়েরও। নিজেদের ইতিহাসে বিভ্রান্ত হলে সমস্যা হয়। বহুদেশ এই ভুল করেছে। আমরা সেই ভুল করব না। আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের অতীতের থেকে অনেক ভালো হতে চলেছে। অনেকে বলেছিল রামমন্দির হলে দেশে আগুন লেগে যাবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। রামমন্দির সদ্ভাব ও সমন্বয়ের প্রতীক। রামমন্দির সমাজের সমাজের সবাইকে উজ্বল ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। রাম আগুন নয়, রাম প্রেরণা। রাম বিবাদ নয়, রাম সমাধান। রাম শুধু আমাদের নয়, রাম সবার। রাম শুধু বর্তমান নয়, রাম অনন্তকাল। গোটা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে রাম।'

    এরপরই প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'মন্দির তো হয়ে গেল, এরপর কী? কালচক্র পাল্টাচ্ছে। আমাদের প্রজন্মকে কালজয়ী হিসেবে বাছা হয়েছে। রাষ্ট্রনির্মাণের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপকে মনে রাখা হবে। আজ থেকে আগামী একহাজার বছরের ভারতের নির্মাণের কথা মনে রাখতে হবে। সবাই এইমুহূর্ত থেকে দিব্য ভারতের শপথ নিচ্ছি। রামের বিচার মানসের সঙ্গে সঙ্গে জনমানসেও হোক, এটাই রাষ্ট্রনির্মাণের চাওয়া হওয়া উচিত। দেবতা থেকেই দেশ, আর রাম থেকেই রাষ্ট্রের চেতনা।
     

     
  • Link to this news (আজ তক)