• দলিতের জমিতেই রামের মন্দির, কে সেই কৃষক'
    ২৪ ঘন্টা | ২২ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি(Ram Lalla Idol) তৈরি করার জন্য তাঁর জমি থেকে একটি পাথর খণ্ড ব্যবহার করায় খুশি, কর্ণাটকের এক দলিত কৃষক। শনিবার তিনি তাঁর গ্রামে ঘোষণা করেন যে তিনি তাঁর সম্পত্তির একটি অংশ দান করবেন রাম মন্দির নির্মাণের জন্য। 

    মাইসুরুর কাছে গুজ্জেগৌদানাপুরা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী রামদাস এইচ বলেন, 'কর্ণাটকের  অরুণ যোগীরাজের তৈরি রাম লালা মূর্তির জন্য তাঁর সম্পত্তি থেকে একটি পাথরের খণ্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র অযোধ্যায় পবিত্রতার জন্য যোগীরাজের তৈরি মূর্তিটি বেছে নেওয়ার পরে আমি বেজায় খুশি'।রামদাস বলেন, 'আমার ২.১৪ একর জমি আছে এবং আমি কৃষি কাজের জন্য পাথর পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম। আমরা এটি একটি স্থানীয় কোয়ারি ঠিকাদারকে দিয়েছিলাম যিনি পাথর পরিষ্কার করেছিলেন এবং যোগীরাজ তার মধ্যে মূর্তি তৈরির জন্য একটি পাথর বেছে নিয়েছিলেন'।রামদাস বলেন, 'আমাদের দক্ষিণ দিকে মুখ করে একটি অঞ্জনেয়া মন্দির আছে, যা দেখে মনে হচ্ছে অঞ্জনেয়া মূর্তি সেই জায়গার দিকে তাকিয়ে আছে যেখান থেকে রাম লালা মূর্তির জন্য পাথরটি খনন করা হয়েছিল। তাই এখানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য চার গুন্টা জমি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মন্দিরের জন্য রাম মূর্তি খোদাই করার জন্য অরুণ যোগীরাজের সাথে দেখা করি'। যদিও রামজাস জানান  যে তাঁকে অবশ্য অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।পাথর সরানোর কাজ হাতে নেওয়া স্থানীয় কোয়ারি ঠিকাদার শ্রীনিবাস নটরাজ জানান, 'একটি বিশাল পাথরকে তিনটি ব্লকে ভাগ করে একটি ব্লক বেছে নিয়েছেন যোগীরাজ। এরপর থেকে সম্পত্তি থেকে পাথরের ব্লক আবার ভারত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের মূর্তি খোদাই করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়'।নটরাজ আরও জানান, 'ওই জমিতে অবৈধভাবে খনন করায় খনি ও ভূতত্ত্ব বিভাগ তাকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পাথরের ব্লক ডেলিভারি দেওয়ার আগেই কিছু তথ্যদাতা ওই দফতরে বার্তা পাঠিয়ে দেন এবং তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়। ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রিত না হওয়া নটরাজ বলেন, 'আমরা পাথরের ব্লকটি অযোধ্যায় নিয়ে যেতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছি, কিন্তু ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত শ্রীনাথ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১.৯৫ লক্ষ টাকা পেয়েছি'। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)