জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: সোমবার দুপুরে অযোধ্যার রাম মন্দিরে(Ayodhya Ram Mandir) পূর্বনির্ধারিত সময়েই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল রামলালার(Ram Lalla)। শুক্রবারই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল রামলালার মূর্তি। যেখানে দেখা যায় রামলালার মূর্তি উত্তর ভারতের বাকি মন্দিরের মূর্তির থেকে একেবারেই আলাদা। কিছুটা দক্ষিণ ভারতীয় মূর্তির আদলেই তৈরি হয়েছে রামলালার মূর্তি। ছোট্ট রামের মূর্তি তৈরি কালো পাথরের। সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছে কেন রামলালার মূর্তি কালোর রঙের পাথরে তৈরি হল?
কালো রঙের পাথরে তৈরি হয়েছে এই রামলালার মূর্তি। একে কষ্টি পাথরও বলা হয়ে থাকে। সেই কারণেই এই মূর্তির রঙ কালো। এই পাথরের অনেক গুণ, এমনকী অনেকক্ষেত্রেই এই পাথর বাকি অন্য পাথরের থেকে অনেক আলাদা। স্থাপত্যবিদদের মতে, গত ৩০০ বছরে উত্তর ভারতে এমন আর কোনও মন্দির নির্মাণ হয়নি। জানা যায় যে মন্দিরের বয়স হাজার বছর পার করার পরেও সূর্যের তাপ,বাতাস এবং জল এর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না কারণ মন্দিরের নিচে গ্রানাইটের একটি স্তর রয়েছে,যা আর্দ্রতা শোষণ প্রতিরোধ করে। রাম মন্দিরে রামলালার যে মূর্তি বসেছে তা জল ও দুধের কারণে নষ্ট হবে না। এমনকী কোনও ভক্ত যদি সেই জল বা দুধ পান করেন, তবে তাতে ব্যক্তির শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে। মন্দিরে কোনও লোহা ব্যবহার করা হয়নি। কারণ, লোহা স্থাপত্যের কাঠামোকে নষ্ট করে দিতে পারে। মন্দিরের স্থাপত্যের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে এর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটির নিচে একটি অতি শক্তিশালী শিলা তৈরি হবে। মাটির উপরে কোনও ধরনের কংক্রিটের ব্যবহার হয়নি, কারণ কংক্রিটের বয়স ১৫০ বছরের বেশি নয়। প্রসঙ্গত, রামলালার মূর্তিটি কৃষ্ণবর্ণের পাথরের তৈরি। মূর্তিটি দণ্ডায়মান। এবং পায়ের আঙুল থেকে ভ্রু পর্যন্ত মূর্তিটির উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। কর্নাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ বা গণেশ ভাটের গড়া দু’টি মূর্তির একটি মন্দিরে প্রতিষ্ঠার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর ট্রাস্টের ১১ জন সদস্য মোট তিনটি মূর্তির মধ্যে একটি নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছিলেন। এরমধ্যে একটি ভাস্কর সত্যনারায়ণ পাণ্ডের গড়া রাজস্থানের শ্বেত মার্বেলের মূর্তি এবং অন্য দু’টি কর্নাটকের কালো গ্রানাইটের। অবশেষে কষ্টি পাথরের মূর্তিটিই বেছে নেওয়া হয়।