প্রদ্যুৎ দাস: রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে রাম লালার পূজো পাঠের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। আর এর পালটা কর্মসূচি নিতে দেখা গেল জলপাইগুড়ি জেলার যুব তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে। সোমবার বেলার দিকে জলপাইগুড়ি থানা মোড়ে তিনি জলপাইগুড়ি জেলা নাগরিক মঞ্চের জন ঐক্য যাত্রা নামে একটি মঞ্চ তৈরী করেন।
সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত ব্যানার লাগিয়ে তার নিচে রাধাকৃষ্ণ, শিব,গনেশ, কালী এবং দেবী দুর্গার ফটো রেখে পূজোর আয়োজন করেন। কেনও এই পূজোর আয়োজন তা নিয়ে তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিল স্কুল বাস। সেই বাস থেকে স্কুলের বাচ্চারা ক্রমাগত জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়।এই বিষয়ে তৃণমূল নেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'ভগবান রামকে রাজনীতি ও বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যাবহার করছে বিজেপি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজকের এই পূজোর আয়োজন করেছি। ওদের কাছে রাম মানে নাথুরাম।' আর আমাদের রাম মানে ক্ষুদিরাম বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।তিনি বলেন. আজকের বাচ্চা আগামীতে দেশ গড়বে। এরাও বোঝে ভগবান রামের মানে। কিন্তু এই ভণ্ড তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে ফেজ টুপি পড়ে রাজনীতি করে। আর পকেটে হনুমান চল্লিশা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর পাকিস্তানের দালালি করে।