চাইলেই আর সঙ্গী-সহ রুম দেবে না OYO! কলকাতা পুলিসের নজরদারিতে বাড়ছে কড়াকড়ি...
২৪ ঘন্টা | ২২ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়ো (OYO Rooms)! নামটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে মাথা গোঁজার ঠাঁই। ২০১২ সাল থেকেই ভারতের এই বহুজাতিক হসপিটালিটি চেইন, বহু মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য় ঠিকানা। তবে খাস কলকাতায়, ওয়ো ব্র্যান্ডের অবৈধ ব্য়বহার করে চলছে হিউম্যান ট্রাফিকিং অর্থাৎ মানব পাচারের মতো অনৈতিক কার্যকলাপ। তবে আর না, এবার কলকাতা পুলিস কোমর বেঁধে ময়দানে নামল। ওয়ো তার অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শহরের হোটেলগুলিতে অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে, শীর্ষ পুলিস কর্তারা সেমিনার করলেন ৩০টিরও বেশি ওয়ো হোটেল অপারেটরদের সঙ্গে। পুলিসের সঙ্গে ওয়োর যুগলবন্দির মূলমন্ত্রই হচ্ছে অন্য়ায়ের বিরুদ্ধে 'জিরো-টলারেন্স' নীতি।কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ ডিভিশন) প্রিয়ব্রত রায় এই বিশেষ সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, 'ওয়ো পর্যটনের প্রচারে এবং ভারতের মানুষের জন্য আতিথেয়তা পরিষেবাকে সুবিধাজনক করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পর্যটন বৃদ্ধির সঙ্গেই আমরা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছি। আমি হোটেলগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছি, অতিথিদের বৈধ ফটো আইডি কার্ড দেখিয়েই যেন রুম দেওয়া হয়।' প্রিয়ব্রত এর সঙ্গেই জানিয়েছেন যে, হোটেল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করা হবে। হোটেলে থাকা প্রতিটি ব্য়ক্তিরই সঠিক রেকর্ড বজায় রাখতে হবে। শীর্ষ পুলিস কর্তাদের তালিকা এবং আশেপাশের থানাগুলির তালিকাও বজায় রাখা হবে। যাতে ওয়োর যে কোনও সাহায্যে পুলিস পাশে থাকতে পারে।ওয়োর চিফ অপারেটিং অফিসার বরুণ জৈন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় ওয়োর ৪৫০ টিরও বেশি হোটেল রয়েছে এবং পর্যটনের বৃদ্ধির সঙ্গেই সেই সংখ্যা বাড়ছে৷ হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্বশীল অংশীদার হিসেবে আমাদের ভূমিকা বুঝতে পারি। আমরা আমাদের হোটেল অংশীদারদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। বিশেষ সেশন হবে যাতে তাঁরা হোটেলে নিরাপত্তা প্রোটোকল বজায় রাখার ব্য়াপারে শিক্ষিত ও সচেতন হতে হবে।' ওয়ো কিন্তু শুধু কলকাতাতেই এই উদ্য়েগ নেয়নি। তাদের জাতীয় কর্মসূচির অংশের মধ্য়ে পড়েছে গৌতম বুদ্ধ নগর (নয়ডা), চণ্ডীগড় এবং লখনউ সহ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিও। একটি শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য়।