• অবাস্তব বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন আনবে কেন্দ্র
    আজকাল | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি: আয়ুষ সহ বিভিন্ন ওষুধের বিজ্ঞাপনে অবাস্তবিক প্রতিশ্রুতি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিনের। এবার তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চায় মোদি সরকার। খুব দ্রুতই এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই ব্যাপারে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।একটি আরটিআইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি ফের উঠে এসেছে। অবাস্তব বিজ্ঞাপন নিয়ে সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন কেরলের চক্ষু বিশেষজ্ঞ কেভি বাবু। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি প্রথম উঠে আসে। যদিও তারপর থেকে আয়ুষ বিভাগের ওষুধ সংস্থাগুলির অবাস্তব বিজ্ঞাপন ঠেকাতে তৈরি করা আইন ঠাণ্ডা ঘরে রয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে প্রথম এই বিষয়ে আইন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যদিও তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে আর কোনও অগ্রগতি হয়নি। সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন কেরলের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই ব্যাপারে আবেদন করেছিলেন কেভি বাবু। তাঁর আবেদনের জবাবে জানানো হয়, আবেদনটি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকে। যদিও সেই বিষয়ে কোনও জবাব দেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে যথাযথ সময়েই পদক্ষেপ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জবাব প্রসঙ্গে কেভি বাবু বলেছেন, "আমি মনে করি এটা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। কারণ, এই জবাব এসেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হস্তক্ষেপের পর। প্রস্তাবিত সংশোধন হলে আইনটি আরও জোরদার হবে। আমি আশা করছি, খুব দ্রুতই এই আইন কার্যকর করা হবে।" ১৬ জানুয়ারি কেভি বাবুর আরটিআইয়ের জবাব দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।আয়ুষ বিভাগের ওষুধ সংস্থাগুলির অবাস্তব বিজ্ঞান নিয়ে ২০১৮ সালে সমালোচনা করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে সংসদে বিল পেশ করা হয়। আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২০২০ সালে প্রস্তাবিত আইনে ২৪টি রোগ সংযুক্ত করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে, চামড়ার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাচ্চা এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো সমস্যা।
  • Link to this news (আজকাল)