জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: "ভাঙড়ের মাটিতে পুঁতে দেব নওশাদ সিদ্দিকীকে।" হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "ভাঙড় থেকে ISF-কে উৎখাত করব। ভাঙড় ছেড়ে এখন ডায়মন্ড হারবারে লড়তে যাচ্ছে। সেখানকার ছেলেরা জুতোর মালা পরিয়ে নওশাদকে ডায়মন্ডহারবার থেকে বার করবে।" মঞ্চ থেকে একের পর এক হুঁশিয়ারি আরাবুল ইসলামের। আরাবুল ইসলাম আরও বলেন, "নওশাদ সিদ্দিকীকে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াতে হবে না। ওর যদি ক্ষমতা থাকে তো ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে দেখাক। নওশাদ সিপিআইএম-এর দালাল, একটা বাচ্চা ছেলে! তোমার জেনে রাখা উচিত রাজনৈতিক ক্ষমতা তোমার কতটা। সেটা ভাঙড়ের মানুষ আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে। তুমি খাচ্ছ সরকারের, মাইনে নিচ্ছ সরকারের!" প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এইভাবে একের পর এক হুঁশিয়ারির সুর চড়ালেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর সেই কথা সমর্থন করলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাও। সোমবার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের সাতুলিয়ায় এক প্রকাশ্য সভায় আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি দেন আরাবুল ইসলাম। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাঙড়ে।প্রসঙ্গত, কদিন আগেই নওশাদ সিদ্দিকী চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, "ডায়মন্ড হারবারে আমি লড়াই করব। ২০২৪-এ ভাইপোকে পরাজিত করে কালীঘাটে পাঠাব। কাশফুলের বালিশ তাঁর পিসি তৈরি করবে, বিক্রির জায়গা আমি করে দেব।" আরও বলেন, "২০২৪-এ ডায়মন্ড হারবারে ভাইপোকে পরাজিত করে আমরা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে আমরা বিজয়োৎসব করব। এখনও আমি নমিনেশন জমা করিনি, আর তাতেই দেখছি কালীঘাট থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছে। বলছে, বিধবা ভাতা না বার্ধক্যভাতা চুরি হয়েছে। প্রায় ৯ বছর পরে ঘুম ভেঙেছে! আমি যদি নমিনেশন করি, তাহলে পিসি-ভাইপোর কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। ২০২৪-এ ভাইপোকে পরাজিত করে কালীঘাটে পাঠাব।"শুধু লোকসভা ভোট নয়, ২০২৬-এ বিধানসভা ভোটকে 'পাখির চোখ' করারও বার্তা দিয়েছেন নওশাদ। তিনি বলেন, "এই সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে বিতাড়িত করব। ২০২৬ সালে নবান্নের ১৪ তলা থেকে নামিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢপের দোকানের মালিক বানিয়ে দেব।" নওশাদ সিদ্দিকীর এই জোড়া চ্যালেঞ্জের পরই জোর শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে। এখন দেখার সময়ের আস্তিনে কী লুকানো রয়েছে! রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে ভাঙড় থেকে ডায়মন্ড হারবারে, শেষ হাসি কে হাসে! আইএসএফ না তৃণমূল?