কাটিয়েছিলেন ২ রাত, নেতাজির ব্যবহৃত সব জিনিস বুকে আগলে স্মৃতিমেদুর কাটোয়ার মুখার্জি পরিবার!
২৪ ঘন্টা | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাটোয়ার বারোয়ারি তলার গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। নেতাজির স্পর্শ পাওয়া আসবাব থেকে জিনিস-পত্তর সহ চিঠি সবই বুকে করে আগলে রেখেছে মুখোপাধ্যায় পরিবার। নেতাজির জন্মদিনে স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মারক যুক্ত গুণেন্দ্রনাথের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশেষ দিনের আগে নেতাজির ব্যবহৃত ইজি- চেয়ার,কারুকাজ করা সেন্টার টেবিল সবই পরিষ্কার করা হয়। ধোয়া হয় লোহার ঘোরানো সিঁড়ি। চোখে না দেখলেও নেতাজির স্মৃতিকে বুকে ধরে যাপন করে আসছেন গুণেন্দ্রনাথের বর্তমান পরিবারের সদস্যগণ।কাটোয়া এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করতে সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের ডাকা এক কর্মসূচিতে ১৯৩১ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর অবধি কাটোয়ায় সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন। কাঠগোলা পাড়ার দীনদয়াল ভবনে নেতাজি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে নানান কর্মসূচিতে বক্তব্য রেখেছিলেন। কাটোয়ায় থাকাকালীন সুভাষ চন্দ্র বসু জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের নেতা গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করে দুটি রাত যাপন করেছিলেন। গুণেন্দ্রনাথ বাবুর বাড়িতেই বর্ধমান জেলার বীর বিপ্লবীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন নেতাজি। তাঁর ব্যবহৃত সেই ইজি-চেয়ার, সেন্টার টেবিল বাড়িতে আজও অক্ষত আছে। যে ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গুণেন্দ্রনাথ বাবুর বাড়িতে উঠেছিলেন সেই লোহার ঘোরানো সিঁড়ি আজও নেতাজির স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৩১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাটোয়ার জনসভায় বক্তব্য দিয়ে নেতাজি কালনা হয়ে কলকাতা চলে যান।কলকাতা থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের খোঁজ নিতে বা নির্দেশ দিতে গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লিখতেন। সেই সব চিঠি অনেক হারিয়ে গেলেও, ১৯৩৭ সালে লেখা একটি চিঠি সযত্নে রেখে দিয়েছেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের বর্তমান সদস্য সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। গুণেন্দ্রনাথ বাবুর পৌত্র রঘুনাথ বা প্রপৌত্র সোমনাথ কারও নেতাজিকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু তাদের বাড়িতে নেতাজি এসে রাত যাপন করেছেন, একথা বলতে গেলেই তাঁদের মনে রোমাঞ্চ জেগে ওঠে। আজও নেতাজির স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছে কাটোয়ার বারোয়ারি তলার মুখোপাধ্যায় পরিবার।