প্রীতি সাহা: ১৫ বছর বয়সে টোকিওতে নেতাজির সঙ্গে প্রথম দেখা। জাপানের কোবেতে জন্ম। তাঁর বাবা আনন্দমোহন সহায় ছিলেন নেতাজির রাজনৈতিক উপদেষ্টা। তিনি ভারতী আশা সহায়। মা সতী সেন সহায় কিশোরী কন্যার হৃদয়ে বুনে দিয়েছিলেন দেশপ্রেমের বীজ। তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন নেতাজির কাছে। এরপর থেকেই দেশের জন্য নিজেকে অর্পণ করে দিয়েছিলেন ভারতী। নেতাজি শিখিয়েছিলেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে জয়হিন্দ বলতে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়েছিল ব্যাঙ্ককে। রিভলবার চালাতে ওস্তাদ ছিলেন। এখনও নেতাজির সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতিটি স্মৃতি খুবই উজ্জ্বল পঁচানব্বইয়ের ভারতী আশা সহায়ের মনে। রাণী ঝাঁসি বাহিনীর বর্ষীয়ানতম জীবিত সদস্য। ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীতে ভবানীপুরের নেতাজি ভবনে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে এই বয়সেও এসেছেন পাটনা থেকে। ভাঙা গলায় গাইলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর গান "কদম কদম বড়ায়ে যা"। মুগ্ধ দশর্করা উঠে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানালেন তাঁকে। আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সকাল থেকেই ভবানীপুরের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ছোট থেকে বড় সকলেই ঘুরে দেখলেন মিউজিয়াম। মাল্যদান করে বহু দর্শনার্থী শ্রদ্ধাজ্ঞপন করলেন। নেতাজি সেজে বহু খুদেকে এদিন দেখা গেল ভবানীপুরের বাড়ির সামনে।