মেয়ের বিয়ের একমাত্র সম্বল ছিল, হাতির দাপটে সর্বস্বান্ত কৃষক বাবা
২৪ ঘন্টা | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
অরূপ বসাক: মেয়ের বিয়ে কি করে দেবেন, এখন সেটাই একমাত্র চিন্তা ডুয়ার্সের কৃষক মনোরঞ্জন দাসের। কারণটা হাতি। মেয়ের বিয়ে দিতে গরিব বাবার একমাত্র ভরসা ছিল চাষের জমি। কিন্তু হাতির উপদ্রব তো লেগেই আছে ডুয়ার্স জুড়ে। এবার জমির আলু খেয়ে সর্বস্বান্ত করল কৃষককে। মেয়ের বিয়ের জন্য ভরসা ছিল বন্ধকী জমি। আর সেখানে ঋণ নিয়ে চাষ করা ১০ বিঘা জমির আলু। দিন কয়েকের মধ্যেই তা বিক্রি করার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু সমস্ত আলুই চলে গিয়েছে হাতির পেটে।
এর জেরে মাথায় হাত পড়েছে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার আংরাভাসা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর নুনখাওয়াডাঙ্গা গ্রামের চাষি মনোরঞ্জন দাসের। মঙ্গলবার গভীর রাতে ৫টি হাতির এক পাল হামলা চালায় আলু খেতে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ওই এলাকা-সহ লাগোয়া পূর্ব খয়েরকাটা গ্রাম মিলিয়ে আরও অন্তত জনা দশেক কৃষক।মনোরঞ্জন জানান, '৮০ দিন বয়সি পোখরাজ প্রজাতির আলু বিক্রি করে ওই টাকা মেয়ের বিয়ের কাজে লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু এখন পথে বসতে হল। এদিন হাতি এসে সব খেয়ে যায়। ঋণ নিয়ে এই আলু চাষ করেছিলাম।' তিনি আরও বলেন, ভেবেছিলাম আলু বিক্রি করে ঋণ শোধ করে মেয়ের বিয়েতে বাকি টাকাটা খরচ করব কিন্তু এক রাতে হাতির দল যা করল তাতে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম। সব শেষ হয়ে গেল। কীভাবে মেয়ের বিয়ে দেব তা ভেবেই পাচ্ছি না। বন দফতর জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থরা আবেদন করলে নিয়ম মোতাবেক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।এর আগেও খাবারের লোভে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছে হাতির দল। কিছুদিন আগে একটি হাতির পাল হামলা চালিয়ে ৮ থেকে ১০ বিঘা ধানের ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের বাতাবারি এলাকার। বারবার হাতির হানায় ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় বিপদে পড়েন কৃষকরা। ভোররাতে হাতির দলটি আবার গরুমারার জঙ্গলে ফিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে কৃষকেরা জমি পরিচর্যার জন্য গিয়ে বিষয়টি টের পান। এই ঘটনায় মাথায় হাত কৃষকদের।