মাল-এর বিডিও কার্যালয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আপত্তি! তুঙ্গে বিতণ্ডা
২৪ ঘন্টা | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
অরূপ বসাক: গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী বদলি-সহ ব্লক প্রশাসনিক স্তরের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলে সরব হলেন খোদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরাই। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মালের বিডিও কার্যালয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা বিডিও এবং ব্লক প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়গুলি নিয়ে রুদ্ধদার আলোচনায় বসেন। সূত্রের খবর বাক-বিনিময়কে কেন্দ্র করে কিছু সময় আলোচনাযর উত্তাপও বাড়ে।
এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে বিতর্কও দেখা গেছে। ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা যদিও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ব্লক প্রশাসনের দাবি, প্রশাসনিক নীতি, নির্দেশিকা, নিয়ম এবং প্রক্রিয়া মোতাবেকই বদলি এবং অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমস্ত বিষয়গুলিই এদিনের আলোচনায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাল ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রেনার (ভিএলই) এবং গ্রাম রোজগার সহায়ক, স্কিলড টেকনিক্যাল পার্সনদের চুক্তিভিত্তিক ১৮ জনের মতো কর্মী কর্মরত রয়েছেন।সম্প্রতি তাদের ব্লকেরই অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে বদলির আদেশনামা ব্লক প্রশাসনিক স্তর থেকেই জারি হয়েছে। আর এতেই 'নাখুশ' মাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। রীতিমতো আগাম লিখিত চিঠি দিয়ে তারা ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাতে হাজির হন। সেখানে বদলি ইস্যু ছাড়াও, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের কিছু ক্ষেত্রে কাজের খবর না পাওয়া-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। মাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ (বাবুয়া) ছাড়াও রাজেশ ছেত্রী, ওয়ারেসুল আম্বিয়া, রাজা শর্মা,সেলিনা ছেত্রী, কাঞ্ছা রানার মতো নেতৃত্বরা প্রতিনিধি দলে সামিল ছিলেন। বিডিও রশ্মিদীপ্ত বিশ্বাস, জয়েন্ট বিডিও সঞ্জয় দত্ত, অন্যগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের ব্লক পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন সাহা প্রমূখ আলোচনা করেন।আলোচনার পর কার্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ বলেন, 'আমরা কয়েকদিন পূর্বে আগাম চিঠি দিয়েই আজকের আলোচনায় এসেছিলাম। উন্নয়নমূলক কাজ নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।'সুশীলবাবু আরও বলেন, গ্রাম রোজগার সহায়কদের মতো কিছু পদে বদলি হয়েছে। আমরা বলেছি সেগুলি আলোচনার মাধ্যমে করা উচিত ছিল। উনারা বলেছেন, এটা প্রশাসনিক বিষয়। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের মনের কথাই জানিয়েছি। উনারা প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে উনাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। বাকবিতণ্ডা বাড়ার বিষয় নেই। আমাদের প্রস্তাবগুলি পরবর্তীতে বিবেচনা না হয় তাহলে আমরা ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বদের জানিয়ে সেই মোতাবেকই সিদ্ধান্ত নেব।