• রাহুলের জোট বার্তার দিনই ৪২ আসনে লড়াইয়ের ডাক মমতার
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় বেরিয়ে মঙ্গলবারই রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে কিছু সমস্য়া থাকতে পারে কিন্তু তা জোটের পথে অন্তরায় হবে না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। কংগ্রেসের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালো। রাহুল গান্ধীর ওই বার্তার পরপরই বিকেলের দিকে দলের নেতাদের প্রতি তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, রাজ্যের ৪১ আসনেই লড়াইয়ের জন্য তৈরি হন।

    তৃণমূল সূত্রে খবর, আজ দলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ইন্ডিয়া জোট'-এ তিনি আছেন ও থাকবেন। কিন্তু লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে তিনি রাজি ছিলেন। কংগ্রেসকে তিনি ২টি আসন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে ১০-১২টি আসন চাওয়া হচ্ছে। ওই সংখ্যক আসন দেওয়া সম্ভব নয়। বরং দলের নেতাদের প্রতি তাঁর বার্তা, রাজ্যের ৪২ লোকসভা আসনেই লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন।বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে আজ গুয়াহাটিতে রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তার উত্তরে রাহুল বলেন, ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তার একটা ফল বেরিয়ে আসবে। এনিয়ে প্রকাশ্য বলতে চাই না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কখনও কখনও সমস্যা হয়েই থাকে। কখনও ওদের কেউ কিছু বলে দেন। কখনও আমাদের কিছু বলে বসেন। এসব খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এর জন্য কোনওকিছু সমস্যা হবে না।  উল্লেখ্য, জোট নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি। এর মধ্যেই দলকে ৪২টি আসনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত রাখছেন তৃণমূল নেত্রী। মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বৈঠকে দেখা গিয়েছে জেলার ৩টি আসন-সহ রাজ্যের ৪২ আসনে লড়াই করার জন্য দলকে তৈরি থাকতে বলেছিলেন। আজও একই কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে দরকষাকষির দরজা বন্ধ না করেও রাজ্যের সবকটি আসনে লড়াইয়ের জন্য তৈরি রাখলেন দলকে।মমতার ওই জোটবার্তা নিয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, পরশু দিনই মুর্শিদাবাদে মমতা বলে এসেছেন ৪২ আসনেই লড়াই করব। তারপর বলছেন সব জায়গাতে কংগ্রেসকে হারাব। সুযোগ সুবিধে মতো উনি কথা বলেন। এটা একটা সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা। তবে এটা এত সহজে হবে না। ওঁরা মনে করেন বিজেপির হাত শক্ত করতে গেলে এসব বলে গোলমাল তৈরি করতে হবে। দীর্ঘদিন আমরা এসব দেখছি। ওঁর যেমন দুটো হাত আছে তেমনি একটা অজুহাতও রয়েছে। পশ্চিমবাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোট লড়াই করবে। যেদিন থেকে জোট হয়েছে সেদিন থেকেই উনি জোট ভাঙার চেষ্টা করছেন। জোট ভাঙলে তার সব দায় ওঁর।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)