• দে'জ-এর একগুচ্ছ বই প্রকাশ, আলোচনা সিনেমা-থিয়েটারে রাজনীতি নিয়ে...
    আজকাল | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • রিয়া পাত্রবইমেলা, ভিড়, বেচা-কেনা, খাওয়া দাওয়া, পুরনো বন্ধু, প্রিয় সাহিত্যিকের সঙ্গে দেখা এসব তো রয়েছেই। এসবের সঙ্গেই প্রায় প্রতিদিন বইমেলা প্রাঙ্গণে মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে একাধিক বইয়ের, হচ্ছে মনোজ্ঞ আলোচনা। মঙ্গলবার এসবিআই অডিটোরিয়ামে দুই পর্বে প্রকাশ পেল সুগত রায় ও ঋদ্ধি গোস্বামী সম্পাদিত "সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ", অয়ন দত্ত সম্পাদিত "পূর্ণেন্দু পত্রীর সত্যজিৎ", গৌতম ঘোষের "চিত্রনাট্য সংগ্রহ ১", অঞ্জন দত্তের "ড্যানি ডিটেকটিভ ৩", কৌশিক সেনের "সময়ের সাজঘরে"। একগুচ্ছ বই প্রকাশের সঙ্গেই আলোচনা হয় এই মুহূর্তের এক চর্চিত বিষয় নিয়ে। বিষয় ছিল, "থিয়েটার-সিনেমায় রাজনীতি"। এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অঞ্জন দত্ত, ব্রাত্য বসু, কৌশিক সেন, শিলাদিত্য সেন এবং সুমন মুখোপাধ্যায়। আলোচনার সূত্রধর ছিলেন ঋদ্ধি সেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, দলীয় রাজনীতির ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এই মুহূর্তের ভারতে একজন শিল্পীর স্বতন্ত্র রাজনীতি কতটা প্রয়োজনীয়। ঋদ্ধির প্রশ্নের উত্তরে সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, পরস্পরের কাজের প্রতি উন্মুখ হয়ে থাকা প্রয়োজনীয়। রাজনীতি এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, তা ভয়াবহ। মোকাবিলা করতেই হবে। আমাদের একমাত্র অস্ত্র আমাদের কাজ। সাংগঠনিক রাজনীতি থেকে সরে থাকা কি সচেতন সিদ্ধান্ত? উত্তরে অঞ্জন দত্ত বলেন, তিনি ব্যক্তি স্বতন্ত্রতায় বিশ্বাসী, এটাই তাঁর রাজনীতি। ব্রাত্য বসুর কাছে ঋদ্ধির প্রশ্ন ছিল, তাঁর কি নিজেকে মনে হয় হ্যামলেট? উত্তরে ব্রাত্য বসু বললেন, প্রশ্ন দলীয় কাঠামোর নয়, বড় কথা হল, আদেউ কি থিয়েটার প্রয়োজনীয় অভিঘাত তৈরি করতে পারবে? মুড়ি মাখা খেতে খেতে মানুষ থিয়েটার বা সিনেমা দেখলে হবে না। এমন কিছু করতে হবে, যাতে মনে তৈরি হয় অভিঘাত।
  • Link to this news (আজকাল)