অযোধ্যার কন্যা হলেন কোরিয়ার রানি! রামমন্দির-পর্বে সামনে এল বিস্মৃত ইতিহাস...
২৪ ঘন্টা | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামমন্দির-পর্বে সামনে এল দু'দেশের বিস্মৃত ইতিহাস! ২২ জানুয়ারি হয়ে গেল রামমন্দির উদ্বোধন। এই উপলক্ষে রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছ্ল। তাঁদেরই একজন ছিলেন কিম চিল-সু (Kim Chil-su)। এসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। এই পর্যন্ত বিষয়টা স্বাভাবিক। অন্য অনেক প্রতিনিধিদের সঙ্গেই এক কোরীয় প্রতিনিধিকেও আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু যদি জানতে পারেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অযোধ্যার যোগাযোগ ছিল, তখন কি চমকে উঠবেন? উঠবেন হয়তো।
তা, চমকে ওঠার মতো খবরই বটে। জানা গিয়েছে, এই কিম চিল-সু'র সঙ্গে রয়েছে অযোধ্যার বিশেষ যোগ! কীভাবে? কিম চিল-সু দক্ষিণ কোরিয়ার কারাক রাজবংশের সদস্য। যে রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা সুরো এবং রানী হিও। এই রানী হিও 'সুরিরত্না' নামেও পরিচিত। আর এই 'সুরিরত্না'ই অযোধ্যার রাজকন্যা। আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে অযোধ্যা থেকে তিন মাসের সমুদ্রযাত্রা করে সুদূর দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছে সেখানকার রাজাকে বিবাহ করেছিলেন অযোধ্যার রাজকন্যা সুরিরত্না! ভাবা যায়!কিংবদন্তি, ৪২ খ্রিস্টাব্দে কারাক রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা সুরো। ৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাজকুমারী সুরিরত্নার বাবা-মা দৈবস্বপ্ন পেয়েছিলেন। সেই স্বপ্নে ঈশ্বর তাঁদের কন্যাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারণ? শোনা যায়, রাজা সুরো উপযুক্ত রানী খুঁজে পাচ্ছেন না। স্বপ্নদর্শনের পরেই অযোধ্যার রাজা কন্যাকে অনেক ধনরত্ন, উপহার, দাসদাসী-সহ একটি নৌকায় করে কোরিয়ার উদ্দেশে পাঠিয়ে দিলেন। তিনমাস সমুদ্রযাত্রার পর সেখানে পৌঁছন রাজকন্যা। কোরিয়ার রাজা সুরোর সঙ্গে তাঁর দেখাও হল এবং দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। সূচনা হয় কারাক রাজবংশের। যে-বংশ ৫৬২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। 'সুরিরত্না' দক্ষিণ কোরিয়ায় রানি হিও হোয়াং-ওকে বা রানি হিও নামে পরিচিত।কয়েক বছর আগে, অযোধ্যা ও কোরিয়ার এই ঐতিহাসিক সংযোগের কথা উঠে এসেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও। এবং তাঁর নির্দেশ মেনেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছিল।দক্ষিণ কোরিয়ায় বহু শতাব্দী ধরে এই বিশ্বাস চলে এসেছে যে, তাঁদের রাজা সুরোকে বিয়ে করার জন্য ভারত থেকে তিন মাস ভ্রমণ করে এসেছিলেন এক কন্যা। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনও কিছু পাথর সংরক্ষণ করা আছে, যা নিয়ে সেখানকার লোকেদের বিশ্বাস, অযোধ্যার রাজকুমারী সমুদ্রযাত্রার সময় তাঁর নৌকোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সঙ্গে ওই পাথরগুলি নিয়ে এসেছিলেন!