• ডাক্তার নেই, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ফিরিয়ে ২ বছর পর ফের চালু বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন!
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • চম্পক দত্ত: দু'বছর বন্ধ থাকার পর হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ফিরিয়ে এনে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে পুনরায় চালু হল লাইগেশন তথা বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন। এই অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি অপারেশন করাতে আসা মহিলা থেকে তাঁদের পরিবার। লাইগেশন তথা বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনে একসময় রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতাল। পর পর বেশ কয়েক বছর শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও, তা আর বজায় রাখা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে দু'বছর বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন ও চিকিৎসা।কেন এতদিন বন্ধ ছিল হাসপাতালের এই পরিষেবা? হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রকোণী গ্রামীণ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ছিলেন ড. গৌতম প্রতিহার। পাশাপাশি একটা সময় তিনি এই হাসপাতালে বিএমওএইচ-এর দায়িত্বও সামলেছেন। গৌতমবাবু সেরা স্ত্রী রোগ চিকিৎসক হিসাবে পুরস্কার পেয়েছিলেন বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। বন্ধ্যাত্বকরণ বিশেষজ্ঞ হিসাবেও চিকিৎসক মহলে রাজ্য জুড়ে ড. গৌতম প্রতিহারের পরিচিতি রয়েছে। এখন ২০২১-এর ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নেন ড. গৌতম প্রতিহার। তাঁর অবসরের পরই বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের যে গৌরব ছিল তা হারিয়ে যেতে বসে। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন। যার জেরে চরম সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই অপারেশনে আগ্রহী মহিলা থেকে তাঁদের পরিবারকে।কেবল চন্দ্রকোণাবাসী-ই নয়, আশপাশের গড়বেতা থেকে কেশপুর ব্লকের একটা বড়ো অংশের মানুষ নির্ভরশীল এই চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের যাবতীয় চিকিৎসা পরিষেবার উপর। বিকল্প বলতে হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল অন্যথায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে হয়। এখন এই অপারেশন বন্ধ থাকায় অনেকেই হাসপাতালে এসে ফিরে গিয়েছেন, এবার পুনরায় অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি বন্ধ্যাত্বকরণ করাতে আসা মহিলা থেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে স্ত্রীরোগের শল্য চিকিৎসক থাকলেও কেউ এই অপারেশনের ঝুঁকি নিতে চাননি। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় এই অপারেশন। সমস্যায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে হাসপাতালের বিএমওএইচ ড. স্বপ্ননীল মিস্ত্রির প্রচেষ্টায় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন পুনরায় চালু করার জন্য গত ৫ ডিসেম্বর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ড. গৌতম প্রতিহারকেই দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুরোধে বিশেষজ্ঞ হিসাবে গৌতম প্রতিহার ৬ ডিসেম্বর চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। ফের শুরু হয়েছে হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহে দু'দিন হাসপাতালে এই বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন করা হয়। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি অপারেশন করা হয়। অপারেশন বন্ধ থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবং হাসপাতালের উপরও চাপ বাড়ছিল বলে জানান হাসপাতালের বিএমওএইচ ড. স্বপ্ননীল মিস্ত্রি। দীর্ঘ ২ বছর পর হাসপাতালে পুনরায় এই অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি সকলেই।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)