অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'যদি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ বা মামলার কপি না থাকে তাহলে কি সেটা গ্রহণযোগ্য' ? মেডিক্য়াল কলেজে দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআইকে অবিলম্বে FIR দায়ের করার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ঘটনাটি ঠিক কী? ডাক্তারিতে সুযোগ পেতে ভুয়ো জাতি শংসাপত্র পেশ! কীভাবে? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন ফের মামলাটির শুনানি হয়।শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, 'সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য। সিবিআই তদন্তের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতদেশ জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেখান, লাইভ স্ট্রিমিং দেখান'। কিন্তু তা দেখাতে পারেননি মামলাকারীর আইনজীবী।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'যদি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ বা মামলার কপি না থাকে তাহলে কি সেটা গ্রহণযোগ্য' ? এরপর সিবিআই আধিকারিক অংশুমান সাহাকে তিনি নির্দেশ দেন, 'সমস্ত নথি নিয়ে নিন। এখনই গিয়ে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করুন'।ডাক্তারি পড়তে গেলে এখন সর্বভারতীয় জয়েন্টে পাস করতে হয়। পোশাকি নাম, NEET(National Eligibily Test)। আদালত সূত্রে খবর, চলতি বছর সেই পরীক্ষায় বসেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইতিশা সোরেন। মেধাতালিকায় তাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল ২৮ হাজার ৩১৯। দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর বজবজ জগন্নাথ গুপ্ত মেডিক্যাল সায়েন্স এবং হাসপাতালে সুযোগ পান ইতিকা। তিনিই মামলা করেছেন হাইকোর্টে।ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার অভিযোগ, নিটের অনেক পরীক্ষার্থীই তফশিলি জাতিভুক্ত নন। ভুয়ো শংসাপত্র পেশ করে অনেক যোগ্য প্রার্থীর সুযোগ কেড়ে নিয়েছেন। ফলে সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা।