• হাঁস 'খুন'! ময়না তদন্তের জন্য কলকাতায় পাঠানো হল ইতির পোষ্য...
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • বিধান সরকার: চুঁচুড়ার সিংহীবাগানের বাসিন্দা ইতি বিশ্বাস। স্বামী রোগশয্যায়। একমাত্র ছেলে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। পাঁপড়ভাজা আর ঝালমুড়ি বিক্রি করে কোনো ভাবে দিন গুজরান তাঁর। ঘোর অনটনের এই সংসারে একটু সুরাহা বলতে হাঁস।

    ইতির ১০টি হাঁস ছিল। যাদের ডিম বিক্রি করে সংসারে কিছুটা সুরাহা হত। এর মধ্যে ৩টি হাঁস শনিবার হঠাৎই মরে গেল! পোষ্যের মৃত্যুতে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছেন ইতিদেবী। ইতি বলেন, 'হাঁসগুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হাঁস-ঘর খুলি। হঠাৎ দেখতে পাই, ৩টি হাঁস কিছু মুড়ি খেয়ে ছটফট করতে-করতে জলে চলে গেল! মুড়ির প্যাকেট তুলে দেখি, কেমন কটু গন্ধ রয়েছে তাতে! সন্দেহ হয়। মুড়ি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ঠোঙাটা রেখে দিই। বুঝতে পারি, কেউ শত্রুতা করে করেছে। বরফচাপা দিয়ে রেখে দিই মৃত হাঁসগুলিকে। এর পরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানাই। তিনি বিষয়টি পুলিসকে জানাতে বলেন। পুলিসে জানালে তারা বাড়ি আসে। তদন্ত করে পুলিস আমাদের পশু হাসপাতালে যেতে বলে। সেইমতো হাসপাতালে আসি। হাসপাতাল বলে, পুলিসে লেখানো অভিযোগপত্র লাগবে। এমনি করে  কয়েকদিন পেরিয়ে যায়।'ইতির সন্দেহ, তাঁর হাঁসগুলিকে মুড়িতে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রতিবেশী একজনের সঙ্গে মাসছয়েক আগে অশান্তি হয়েছিল। তবে বিষ কে দিয়েছে তা দেখতে না পাওয়ায় তিনি কারও নামে অভিযোগ করেননি। তবে হাঁসগুলিকে যে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত হতে তিনি ময়নাতদন্ত চেয়েছেন।বিষয়টি জানতে পেরে আজ, বুধবার হুগলি জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী ইতিকে নিয়ে থানায় যান। সেখানে ডায়েরি করানোর পরে তিনি পশু হাসপাতালেও নিয়ে যান ইতিকে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃত হাঁসগুলিকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন। নির্মাল্য জানান, এক গরিব মহিলার তিনটে হাঁস মারা গিয়েছে। আইনের কচকচানিতে তিনদিন ধরে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদিকে, প্রাণীর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিকাঠামোও নেই। তাই কলকাতার বেলগাছিয়ার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হল ইতির হাঁসগুলিকে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)