• রামধ্বজার সঙ্গে রাস্তা লুটোচ্ছে তিরঙ্গাও, সরকারি নিয়ম কী?
    আজ তক | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • জাতীয় পতাকার অবমাননা রুখতে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি পুরসভা। জাতীয় পতাকাকে কী ভাবে সম্মানের সঙ্গে রাখতে হবে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পতাকার যাতে কোনও ভাবেই অবমাননা না সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    অযোধ্যায় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন এবং 'প্রাণ প্রতিষ্টা'-এর পরিপ্রেক্ষিতে রামধ্বজ এবং জাতীয় পতাকা গুলির যাতে অবমাননা না হয়, সেজন্য ওই নির্দেশিকা। যে পতাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ, ছেঁড়া বা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে, সেগুলি সরানোর কথা বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, জাতীয় পতাকা ব্যবহারের কিছু সরকারি নিয়ম রয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসের আগের দেদার বিকোয় জাতীয় পতাকা। এই সময় পতাকা অর্ডারের ঢল নামে। বিভিন্ন মাপের পতাকা বাজারে-দোকানে মেলে। কাপড়ের বড় পতাকার সঙ্গে সঙ্গে কাগজের ছোট-মাঝারি অনেক ধরনের পতাকাই বিক্রি হয়। তবে স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের পরই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এখান ওখান ছড়িয়ে থাকে জাতীয় পতাকা। বিশেষ করে কাগজের পতাকাগুলি ধুলোয় পড়ে থাকে। এহেন অবমাননা করা আইনত অপরাধ।

    জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম
    যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া যায় না জাতীয় পতাকা। তার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। পতাকায় কোনও ভাবে নোংরা লাগতে দেওয়া যাবে না। পতাকা যাতে ছিঁড়ে না যায়, তা যেন ভেজা অবস্থায় না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যদি পতাকায় নোংরা লেগে খাতে তবে তা যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করতে হয়। পতাকাকে কখনওই এক টুকরো কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কাগজের পতাকা হলেও সেটিকে যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া যায় না। কোনও কিছু ঢাকা দিয়ে রাখা যাবে না পতাকা। কোনও কিছু ধরার জন্য পতাকা ব্যবহার করা অপরাধ। ট্রেন, বাস বা নৌকায় পতাকা লাগিয়ে রাখা নিয়মবিরুদ্ধ একেবারেই। পতাকা দিয়ে ঢেকে কোনও কিছু বহন করাও আইনবিরুদ্ধ।

     
  • Link to this news (আজ তক)