সাতসকালে মিলল ২৫ বছরের যুবতী ও বছর ৪৫-এর যুবকের ঝুলন্ত দেহ! গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য...
২৪ ঘন্টা | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
প্রদ্যুৎ দাস: বৃহস্পতিবার সাত সকালে একই গ্রামে পৃথক জায়গায় মহিলা এবং পুরুষের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে। জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকে বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি পৃথক জায়গা থেকে এক মহিলা ও এক পুরুষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘুম ভাঙতেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি থানার অন্তর্গত বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত।
সাত সকালে একই গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন মহিলা ও একজন পুরুষের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেল স্থানীয়রা। জেলায় এই হাড় কাঁপানো শীতে সকালে এ ধরনের ঘটনায় একদিকে গোটা এলাকা চাঞ্চল্য অবস্থায় পাশাপাশি ঘটনায় রীতিমতো গরম পরিস্থিতি এলাকায়। দুটি পৃথক পৃথক জায়গায় এভাবে দুইজনের ঝুলন্ত দেহ মেলায় অসস্তিতে পুলিস প্রশাসন থেকে স্থানীয় প্রশাসন।বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গালেরডাঙ্গা বুথে রুপালি সরকার বয়স ২৫ নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় রান্না ঘরের বারান্দা থেকে। পরিবার সূত্রে খবর, রুপালি সরকারের স্বামী মাসখানেক আগে ভুটানে কাজ করতে যায় বিয়ের তিন বছর পর এভাবে ঠিক কী কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনাস্থলে ধুপগুড়ি থানার পুলিস।একই সময়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই কানু সরকার বয়স আনুমানিক ৪৫ নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা একটি গাছে। বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল অফিস পাড়া এলাকায় একটি গাছে উঠে গলায় ফাঁস দেন তিনি বলে স্থানীয়দের অনুমান। অন্যদিকে, লক্ষ্য করা যাচ্ছে তিনি যে জায়গায় ফাঁস দিয়েছেন তার পাশেই তার একটি সাইকেল পড়ে রয়েছে।পরিবার ও পুলিস সূত্রে খবর, কানু সরকার ধুপগুড়ি সুপার মার্কেটের সবজি ব্যবসা করতেন পাশাপাশি একজন সুদক্ষ খেলোয়ার ছিলেন। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী কানু সরকার বাজারে ঋণ ছিলেন। ঋণের কারণেও এই আত্মহত্যা বলে অনুমান স্থানীয়দের। তবে ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা, এর পিছনে কি কোনও কারণ রয়েছে গোটা ঘটনা উদঘাটন করতে ইতিমধ্যেই ধুপগুড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে। একই সময়ে একই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দুজনের ঝুলন্ত দেহ মেলায় ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।