দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় চোট, জেলা পুলিস সুপারকেই ভর্ৎসনা ডিজির!
২৪ ঘন্টা | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
সুতপা সেন: বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি দুর্ঘটনার জন্য কার্যত জেলা পুলিসকে দায়ি করলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। গতকাল পুলিসের একটি গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে চলে আসে। তাতেই বিপত্তি হয়। সেই ঘটনায় জেলা পুলিস সুপারকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন ডিজি। ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচের জন্য জেলা পুলিস সুপারকে ভর্ৎসনা করেন ডিজি। একই সঙ্গে সব জেলার সুপারদেরও সতর্ক করে দেন ডিজি রাজীব কুমার।গতকাল বর্ধমানে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশাসনিক বৈঠক। সেই প্রশাসনিক বৈঠকের শেষে সড়কপথে বর্ধমান থেকে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফেরার পথেই ফের আহত হন মুখ্য়মন্ত্রী! মাথায় চোট লাগে তাঁর। কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে করেই বর্ধমানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া ও সঙ্গে বৃষ্টি থাকায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে তিনি সড়কপথে ফিরছিলেন। আর তখনই বিপত্তি ঘটে। বর্ধমানে জিটি রোড থেকে এক-দেড় কিমি দূরে একটি জায়গায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার সময় গাড়িতে সামনে সিটে বসেছিলেন তিনি। জিটি রোডের ওঠার মুখে আচমকা ব্রেক কষেন চালক। তখনই প্রবল ঝাঁকুনির জন্য উইন্ড স্ক্রিনে মাথা ঠুকে যায় মমতার। তাতেই মাথায় চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিসের একটি গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে চলে আসাতেই বিপত্তি ঘটে।যে ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গাড়িটা খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। আমাকে গাড়িটা প্রায় পিষেই দিয়ে দিত। মরেই যেতাম ওখানে।" বর্ধমান থেকে ফিরে রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মিনিট ৪৫ বৈঠক করেন তিনি। তারপর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি জানি না। একটা কোনও গাড়ি। আমি গাড়িটাকে দেখতে পাইনি। আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, একটা গলি দিয়ে বেরোচ্ছি তো, ওই গাড়িটাও খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। আমাকে প্রায় পিষেই দিয়ে দিত। পুরো মরেই যেতাম ওখানে।"মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, "আমার গাড়ি যে চালাচ্ছিল, ও সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে। ব্রেকটা কষে বুদ্ধিমানের কাজ করেছে ও। ব্রেকটা যখন কষে,তখন পুরো ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লাগে। তখন একটা সংঘর্ষ হয়। কিছুটা রক্ত পড়ে। ফুলেও আছে। ব্যথা হচ্ছে সারা মাথায়। কাচটা ভাগ্যিস খোলা ছিল। কাচটা যদি বন্ধ থাকত, তাহলে ওই ড্যাশবোর্ড কাচ সমেত আমার সারা শরীরে ঢুকে যেত। গাড়ি চুরমার হয়ে যেত। কোনওরকমে মানুষের আর্শীবাদে রক্ষা পেয়েছি।"