ক্যানসার সারাতে ডুবিয়ে রাখল গঙ্গায়, ৫ বছরের শিশুকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিল বাবা,মা-ই!
২৪ ঘন্টা | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
জি ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৫ বছরের ছেলের ব্লাড ক্য়ানসার। সেই ব্লাড ক্যানসার সারাতে গঙ্গায় ডুব দেওয়ায় পরিবার। পরিণতি হল মর্মান্তিক... গঙ্গায় ডুবে মৃত্য়ু হল ক্যানসার আক্রান্ত ওই ৫ বছরের শিশুর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে। অন্ধবিশ্বাস থেকেই গঙ্গায় ছেলেকে ডুব দেওয়ায় বাবা-মা। জীবন বাঁচানোর বদলে তাঁকে মেরেই ফেলে বাবা-মা! ওই শিশুর বাবা-মা এবং মাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই শিশুর মাসি তাকে জলের নীচে ডুবিয়ে রেখেছে। আর শিশুর বাবা-মা মন্ত্র আউড়ে চলেছেন। জলে তলায় ডুবে থেকেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। এদিকে গঙ্গার চাতালে নিথর শিশুটিকে শুইয়ে রেখে তখনও তার মাসি বলে চলেছেন যে, ওর জীবন ফিরে আসবে! আরেকটি ভিডিয়োতে দেখা যায় যে, প্রবল শীতে শিশুটিকে ওই ভাবে জলে ডুবিয়ে রাখতে দেখে কয়েকজন এগিয়ে আসেন। তাঁরা তাঁদেরকে বাধা দেন। সেইসঙ্গে জোর করে শিশুটিকে জল থেকে তুলে আনেন। যার জন্য ওই শিশুর মাসি তেড়েও যান তাঁদের দিকে। তাঁদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। এরপরই ওই শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।কুসংস্কার ও অলৌকিক কিছু ঘটবে, এই আশাতেই ৫ বছরের গুরুতর অসুস্থ ছেলেকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের গঙ্গায় জোর করে ডুব দেওয়ায় তার বাবা-মা। ছেলেটি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিল। আর তার বাবা-মায়ের বিশ্বাস ছিল যে, গঙ্গা নদী-ই তাঁদের অসুস্থ ছেলেকে সারিয়ে তুলবে। সেই অন্ধবিশ্বাস থেকেই গঙ্গায় ডুব দেওয়ায় ছেলেকে। আর তাতেই তাঁর জীবন বাঁচানোর বদলে তাঁকে মেরেই ফেলে বাবা-মা! পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবার আদতে দিল্লির বাসিন্দা। বুধবার সকালে তাঁরা গাড়ি করে হরিদ্বারে আসেন। ক্যাব চালক জানিয়েছেন, শিশুটির সঙ্গে তার বাবা-মা ছাড়াও অন্য একজন মহিলা ছিলেন। যিনি সম্পর্কে ওই শিশুর মাসি। ক্যাব চালক আরও জানিয়েছেন, শিশুটিকে অত্যন্ত অসুস্থ দেখাচ্ছিল। তার পরিবার তাঁকে জানায় যে, সে ক্যানসারে ভুগছে। কিন্তু দিল্লির ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। হরিদ্বার শহরের পুলিস প্রধান স্বতন্ত্র কুমার এঘটনায় জানিয়েছেন, ওই পরিবার তাদের বলেছে যে শিশুটি দিল্লির একটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তাঁদের এও বলেছিলেন যে, তাঁদের সন্তানকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু পরিবারের বিশ্বাস ছিল যে গঙ্গা নদী তাঁদের ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারে! ওই শিশুর বাবা-মা এবং মাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।