১০০ বছরের প্রিয়বালা ভোট দিতে চান, কিন্তু তালিকায় নাম নেই তাঁর!
২৪ ঘন্টা | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
বিধান সরকার: শতায়ু বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু। ভোট দিতে চান, কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম নেই। পরিবার অনেক চেষ্টা করেছে। প্রাথমিক ভাবে কাজ কিছু এগোয়নি। তবে সম্প্রতি প্রশাসনের কানে উঠেছে বিষয়টি। জানা গিয়েছে, প্রশাসন খোঁজ নিয়ে দেখবে।
চুঁচুড়া পুরসভার কপিডাঙা এলাকার শতায়ু বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শেষ বার ভোট দিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর ভোট দিতে পারেননি। ভোটার কার্ড রয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় ভোট দিতে পারেন না প্রিয়বালা। অথচ, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে চান তিনি।আজ, বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোটার দিবস। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, আজই প্রিয়বালাদেবীর প্রসঙ্গটি ফের একবার সামনে এল। প্রাপ্তবয়স্ক সকলের যাতে ভোটার তালিকায় নাম থাকে এবং দেশের নির্বাচনে যাতে সবাই অংশ নিতে পারেন সেজন্য নানা কর্মসূচি চলছে। হুগলি জেলায় শেষ যে সংশোধিত ভোটার তালিকা পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৪৭,৬২,৬৮৯ জন মোট ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩,৯৩,৫৪৩ জন, মহিলা ২৩,৬৯,০৩৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ১১২ জন। নতুন ভোটার ১৯,১০১ জন। একশো শতাংশ ভোটারের ভোটার কার্ড আছে। ভোটার তালিকা সংশোধন কাজে সাফল্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পুরস্কৃতও হয়েছে হুগলি জেলা।সেই প্রেক্ষিতে শতায়ু এক ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় হতবাক প্রিয়বালার পরিবার। বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ঠাকুমার বয়স একশো পেরিয়েছে। এখন কিছুটা জড়োসড়ো হয়ে গিয়েছেন। তবে এখনও কানে শুনতে পান, চোখে দেখেন, ঝুঁকে হলেও হাঁটাচলা করতে পারেন। হঠাৎ করেই দেখি, ভোটের তালিকা থেকে ঠাকুমার নাম বাদ পড়ে গিয়েছে। কী করে হল জানি না। যাঁরা ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করেন তাঁদের বলেছিলাম, কিন্তু কাজ কিছু হয়নি। এদিকে ঠাকুমা ভোট দিতে চান। কিন্তু তালিকায় নামই নেই তো দেবেন কী করে! বৃদ্ধার বড় বউমা হরিদাসী যোগ করেন, শাশুড়ির রেশন কার্ড আছে, কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁর রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে!সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা বলেন, ওঁর একশোর বেশি বয়স জানতে পারলাম। এক সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল। যাই হোক, ওঁর বাড়িতে টিম পাঠিয়ে তথ্য যাচাই করে নিয়ে যা করার করব।