• নিমেষে উড়িয়ে দিতে পারে ট্যাঙ্ক-হেলিকপ্টার, কর্তব্য পথে ভারতের NAG মিসাইল সিস্টেম
    আজ তক | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়েছিল নাগ মিসাইল সিস্টেম। দেশটিতে পাওয়া কোবরা সাপের নামে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে। শুধু নাম নয়, এর আক্রমণও কোবরার মতো। নাগ মিসাইলের একটি আঘাতই শত্রু শিবিরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (আইজিএমডিপি) আওতায় তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে।

    NAG মিসাইল সিস্টেম অর্থাৎ NAMIS তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা DRDO। এটি একটি ট্র্যাক করা সাঁজোয়া গাড়ি। যার একটি ক্রুবিহীন বুরুজ রয়েছে। যা ছয়টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ছুড়তে পারে। 'নাগ' ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য একটি বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র বাহক NAMICA প্রস্তুত করা হয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়েছে 'সারথ'। নামিকাতে মোট ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ৬টি রেডি মোডে থাকে। স্টোরেজে আছে ৬টি। গুপ্ত অপারেশন, অগ্নি শনাক্তকরণ এবং দমন ব্যবস্থা এবং পারমাণবিক, জৈবিক, রাসায়নিক, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এটিতে একটি কমপ্যাক্ট অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট রয়েছে।

    এই যুদ্ধ যানের ওজন ১৪.৫ টন। এটি জলে ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে চলে। নামিকা ৭.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। এতে ৪ জন সামরিক কর্মী থাকতে পারেন। এর মূলমন্ত্র হল সেভেন্টিন ম্যাক হার ময়দান ফতেহ। একে ধ্রুবস্ত্র বা হেলিনাও বলা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতি সেকেন্ডে ২৩০ মিটার গতিতে চলে। এর মানে প্রতি ঘন্টায় ৮২৮কিমি। ধ্রুবস্ত্রের পরিসীমা ৫০০ মিটার থেকে ২০ কিমি। এটি একটি তৃতীয় প্রজন্মের 'ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট' অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল। যা হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক, বিএমপি বা যে কোনও সাঁজোয়া যানে মোতায়েন করা যেতে পারে।

    নাগ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলের ওজন প্রায় ৪৫ কেজি। এটি ৬ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা। এর ব্যাস ৭.৯ ইঞ্চি। এতে ৮ কেজি বিস্ফোরক যোগ করে এটিকে একটি চমৎকার অ্যান্টি-কিল মিসাইল বানানো যাবে।
  • Link to this news (আজ তক)