• প্রাথমিক ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের স্পোর্টসে জোর করে ৯০০-৩০০ চাঁদা তোলার অভিযোগ!
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রদ্যুৎ দাস: জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি, মাদ্রাসা এবং শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলির ৪০ তম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে হতে চলেছে। ধূপগুড়ি ৩ নম্বর, ধূপগুড়ি ৪ নম্বর এবং ধূপগুড়ি পশ্চিম মন্ডলের ব্যবস্থাপনায় ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রতিবারের মতো এবারেও প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যাবতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে এই জাতীয় কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে কোনও প্রকার চাঁদা আদায় করা যাবে না। কিন্তু এবার সেই নির্দেশিকা অমান্য করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জোর করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা এবং অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি এর প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। নজিরবিহীন এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষকমহলে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের একাংশ সদস্য। বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের জেলা সম্পাদক জয়ন্ত কর বলেন, সরকারি খেলা বরাবর সরকারি অর্থেই হয়। কিন্তু এবার শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলী করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যাবেনা। এরা সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছে। ফলে সরকারি খেলা আর সকারি থাকছে না তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। তাই আমরা এই জাতীয় ঘটনার প্রতিবাদ লিখিত আকারে জানিয়েছি। আমরা দাবি করছি সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে। এবং এই ক্রীড়া পরিচালনার পর সমস্ত স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনকে ডেকে স্বচ্ছতার সাথে আয় ব্যায়ের এর হিসাব পেশ করতে হবে।বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন ABPTA জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন এবছর জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক স্তরের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক  শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা  প্যারা টিচার ও এস এস কের সহায়ক সহায়িকাদের কাছ থেকে  ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অদ্ভুত কায়দায় নিমন্ত্রণ পত্রে কাউন্টার পার্ট করা হয়েছে। তার একটি অংশে হাতে লিখে অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং অন্য পার্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের  হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করে প্রতিবাদ পত্র সংসদ দপ্তরে জমা দিয়েছি।তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা স্পোর্টস কমিটির কো অর্ডিনেটর স্বপন বসাক বলেন স্পোর্টস সংক্রান্ত মিটিং গুলিতে চাঁদা আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আর তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে চাঁদা আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের স্পোর্টস এর জন্য ইতিমধ্যে ৫ লাখ টা বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দপ্তর। সুতরাং চাঁদা আদায়ের প্রশ্নই উঠছেনা। যদি কেউ চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করে থাকে তবে নিশ্চয়ই তার তদন্ত হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্য মোহন রায় বলেন সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবেনা।চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এই জাতীয় অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে না করে আমার কাছে করুক। তবে আমি এখোনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)