জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোশ্য়াল মিডিয়ায় আলাপ আর তারপরেই সামনাসামনি দেখা। আর এই সাক্ষাতেই মুম্বইয়ের এক একুশ বছরের মেয়ের সর্বণাশ ঘটে গেল। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই বন্ধুর দ্বারাই মাদকাসক্ত হয়ে সে ধর্ষিতা হয়েছে বলেই অভিযোগ। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওরলির পুলিস এই মামলার তদন্ত করছে। আর সেই মেয়ের বয়ান তুলে ধরেছে ইনস্টাগ্রাম পেজ পানিশমাইরেপিস্ট। সেখানেই ধর্ষিতা জানিয়েছেন তাঁর জীবনের চরম অভিজ্ঞতার কথা।মেয়েটি লেখেন, 'আমি মুম্বইয়ের ২১ বছরের একটি মেয়ে। এটা আমার গল্প। আমি ইনস্টাগ্রামে যে ছেলেটির সঙ্গে কথা বলছিলাম, তার সঙ্গেই হ্য়াং আউট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমাদের পারস্পরিক কিছু পরিচিতরাও রয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, একটা মজার রাত কাটাতে চলেছি। কিন্তু আমার জীবনে সেটাই সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছিল। হিতিক শাহ এবং আমি শহরেরই এক জায়গায় ড্রিংস এবং পার্টি করার জন্য় গিয়েছিলাম। ওর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার পর আমরা বাস্তিয়ানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বেশ কিছু টাকিলা শটসের পর আমি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি, পার্টিতে উদ্বিগ্ন হয়ে যাই এবং একা লাগতে শুরু করে। ছেলেটি জোর করে আমাকে আরও পান করায় এরপর ব্ল্য়াকআউট হয়ে যাই। এরপর মনেও নেই যে কী হয়েছিল! আমি উঠে দেখি যে, সে আমাকে ধর্ষণ করছে, তাকে থামানোর চেষ্টা সত্ত্বেও, সে ধর্ষণ চালিয়ে গিয়েছিল। অত্য়ন্ত রাগের সঙ্গেই আমাকে তিনবার থাপ্পড়ও মেরেছিল। আমাকে ভয়ও দেখায় সে। ছেলেটি যেখানে নিয়ে গিয়েছিল, সেটি ওর বন্ধুর। ওর বন্ধুরা ওকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। তাদের সামনেই আমাকে হুমদি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমি আমার তুতো ভাইকে ফোন করি আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য়। ক্ষতবিক্ষত এবং আহত হয়ে সে রাতে আর আমার বাবা-মায়ের সামনে আসতে পারিনি। আমার পরিবার এই ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছিল। এই ঘটনার পরের সপ্তাহে আমি ছেলেটির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলাম। পরের দিন সকালে ও ক্ষমা চেয়েছিল। কিন্তু এই ক্ষমার কোনও মানেই ছিল না। কারণ সে পলাতক। ঘটনার ১২ দিন পরেও ওকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে সে আগাম জামিনের আবেদন করেছে। হিতিক শাহর (অভিযুক্ত) বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণের শাস্তি) ও ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত দেওয়ার শাস্তি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই। অন্য মেয়েদের অনুরোধ করব, তারা কার সঙ্গে কথা বলছে এবং বাইরে যাচ্ছে সে সম্পর্কে যেন আরও সতর্ক হয়। আপনার যদি কোনও লিঙ্ক/রিসোর্স/পরামর্শ/কানেকশন/এনজিও থাকে যা আমাকে সাহায্য করতে পারে, তাহলে আমাকে একটি মেসেজ ড্রপ করুন।' এখন দেখার পলাতক অপরাধী কত দ্রুত পুলিসের হাতে ধরা পড়ে।