• রান্নাঘরে মিলল চিতাশাবক... বৃদ্ধের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘ! আতঙ্ক মালবাজারে...
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
  • অরূপ বসাক: মালবাজারের দুটি ব্লকে চিতাবাঘের উপদ্রব। এক জায়গায় চিতার আক্রমণে আহত ব্যাক্তি, অন্য জায়গায় রান্নাঘর থেকে উদ্ধার চিতাশাবক। মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের শালবাড়ি মোড় সংলগ্ন খরিয়ার বন্দর বস্তি এলাকার জনৈক রতন সূত্রধরের বাড়িতে চিতাবাঘের শাবকের দেখা মিলল। শনিবার  ওই বাড়িতে চিতাবাঘের শাবকের খবর জানাজানি হতেই বহু মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে চিতাবাঘের শাবকটিকে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যায়।বাড়ির মালিক রতন সূত্রধর বলেন, এদিন সকালে বাড়ির লোকজন চিতাবাঘের শাবকটিকে ঘরের বারান্দায় টেবিলের নীচে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। গত কয়েকদিন ধরেই রাতে বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে চিতাবাঘ। বাড়ি থেকে কুকুর, মুরগি, ছাগল তুলে নিয়ে যাচ্ছে। পাশেই রয়েছে ছোট চা বাগান। ওই চা বাগানের মধ্যেই চিতাবাঘ আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে বাসিন্দাদের অনুমান। চিতাবাঘ ধরতে এলাকায় খাঁচা বসানোরও দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন, চিতা শাবকটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।   অন্যদিকে, আবার চিতাবাঘের আতঙ্ক নাগরাকাটাতেও। শনিবার চিতাবাঘের আক্রমণে এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার  নাগরাকাটা ব্লকের লুসান এলাকায়। আহত ব্যক্তির নাম চিত্র বাহাদুর ছেত্রী, বয়স ৭০, তাঁর বাড়ি লুকসান মোড়ে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লুকসান সংলগ্ন এলাকা ধর্নিপুর চা বাগানের ডিপি লাইনে চিত্র বাহাদুর গরু চরাচ্ছিলেন। সেই সময় ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি চিতাবাঘ চিত্র বাহাদুরকে পিছন থেকে আক্রমণ করে। চিতাবাঘ চিত্র বাহাদুরের পিঠে ও বাম হাতে জখম করে। চিতাবাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে, ওই বৃদ্ধ জোরে চিৎকার করতে থাকে এবং চিতাবাঘ পালিয়ে যায়।চিত্র বাহাদুরের আওয়াজ শুনে অন্যান্য ব্যাক্তিরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে  আহতের পরিবারের লোকজন এসে তাঁকে  নাগরাকাটার  লুসান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত ব্যাক্তিকে  প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুলকাপাদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। খুনিয়া বন্যপ্রাণী শাখা রেঞ্জের রেঞ্জার সজল কুমার দে জানান, আহত ব্যক্তিকে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার পুরো খরচ বহন করবে বন বিভাগ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)