• "বিজেপি নেতাদের দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেব, জুতোর মালা পরাব, গ্রামে ঢুকতে দেব না"
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
  • রণজয় সিংহ: বিজেপি নেতাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীর। হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রতিবাদ সভা থেকে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি নেতাদের বেনজির আক্রমণ মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমুল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীর। বিজেপি নেতাদের গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি, জুতার মালা পরানোরও নিদান। এদিন বক্তব্য রাখার সময় আবদুর রহিম বক্সী হুঁশিয়ারি দেন, "একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন তখন অন্যদিকে বিজেপিরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে কাভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। ভারতবর্ষের ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। বিজেপি বড় নরখাদক। কিছু দালাল পুষেছে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে যারা টিভিতে মুখ দেখায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে। সেই নরখাদকের দল জেনে রাখ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তোমাদের ওই দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামী দিনে প্রত্যেকটা নরখাদকের দাঁত ভেঙে দেব আমরা।" তিনি আরও বলেন, "গরিব মানুষের স্বার্থে লড়াই হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ পথ দেখাবে গোটা ভারতবর্ষকে। লোকসভা ভোটের আগে এখন এখানকার এমপি নতুন করে রাস্তায় নেমেছেন। গ্রামে গ্রামে ফুলের মালা গলায় পড়ছেন। কিছু মানুষকে আগে থেকেই টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। বলছেন, তোরা ফুলের মালা তৈরি করে রাখিস। আমি যখন গ্রামে ঢুকব, তখন পরিয়ে দিবি। টিভিতে দেখাব আর বলব, গ্রামের মানুষ আমাকে খুব ভালোবাসে।" এরপরই তৃণমূল সভাপতি ফের হুঁশিয়ারি দেন, "১০০ দিনের কাজে খাটতে খাটতে গরিব মানুষের পায়ের জুতোটা শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই গরিব মানুষদের পায়ের জুতোর মালা পরানো হবে।" তোপ দাগেন, "যে বিজেপি নেতা-এমপি আমাদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেয়নি। যে বিজেপির নেতা-এমপি ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি রাখেনি।  সামাজিক নিরাপত্তা দেয়নি যাঁরা। গ্রামের মানুষেরা ব্যারিকেড তৈরি করে সেই বিজেপি নেতাদের গ্রামে ঢুকতে দেব না।" এমনই চ্যালেঞ্জ ছোড়েন  তৃণমূল বিধায়ক তথা মালদা জেলা তৃণমুল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)