• গৃহস্থের হেঁশেলে চিতাবাঘের বাচ্চা, আতঙ্ক ডুয়ার্সে
    আজকাল | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • অতীশ সেন, ডুয়ার্স: জঙ্গলে কিম্বা চা বাগানের নালায় নয়, এবার দেখা গেল বাড়ির রান্নাঘরের টেবিলের তলায় ঢুকে বসে রয়েছে চিতাবাঘের বাচ্চা। মেটেলি ব্লকের চালসা সংলগ্ন ন্যাওড়া মাঝিয়ালির শালবাড়ি মোড় এলাকায় রতন সূত্রধরের বাড়ির রান্নাঘরে শনিবার দুপুরে ঢুকে পরে এই চিতাবাঘের শাবক। রতন বাবুর বাড়ি পাশেই এস.এস.বি ক্যাম্প, এই ক্যম্পের ভেতরে গত সপ্তাহে আরেকটি চিতাবাঘের শাবককে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। ফলে এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে।জানা যায়- শনিবার সকালে রতন বাবুর মা সকালের রান্না করার জন্য হেঁশেলের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখতে পান বিড়ালের বাচ্চার মতো এক শাবক রান্নাঘরের ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছে। খাবার টেবিলের নিচে ঘাপটি মেরে বসে থাকছে। প্রথমে তিনি সেটিকে বিড়ালের ভাবলেও - পরে বাড়ির লোকজন এসে বুঝতে পারেন ওটা চিতাবাঘের বাচ্চা। তারা সেটিকে একটি ধামা দিয়ে চাপা দিয়ে বনদপ্তরে খবর দেন। খবর পেয়ে বনদপ্তরের বন্যপ্রান শাখার খুনিয়া স্কোয়ার্ডের কর্মী ঘটনাস্থলে এসে শাবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, পাশেই রয়েছে এক ছোট চা বাগান। সেখানে অনেকগুলি চিতাবাঘ ডেরা গেঁড়েছে। মাঝে মধ্যে ছাগল, মুরগী নিয়ে যায়। চালসা নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সম্পাদক মানবেন্দ্র দে সরকার জানান শাবকটির বয়স আড়াই থেকে তিন মাসের হতে পারে। এখন চা বাগানগুলি চিতাবাঘের নিভৃত আবাসস্থলে পরিনত হওয়ায় লোকালয়েও চিতাবাঘের আনাগোনা বেড়েছে। তিনি বলেন এই বিষয়ে পরিসংখ্যান ভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নইলে ভবিষ্যতে মানুষ ও চিতাবাঘের সংঘাত বাড়বে।খুনিয়া স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন, বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়া চিতাবাঘের শাবকটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে সেটি বনদপ্তরের হেফাজতে রয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)