বগটুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনের নামে হুলিয়া জারি, গ্রামে এল সিবিআই টিম
২৪ ঘন্টা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
প্রসেনজিত্ মালাকার: বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে ৩ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করে বগটুই গ্রামে নোটিস সাঁটাল সিবিআই। বগটুই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ওই নোটিস সাঁটানো হয়েছে। নোটিসে থাকা ৩ অভিযুক্তের নাম রোহন শেখ, মারফত শেখ ও খুশিল শেখ। আগামী ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে তাদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ও গুলির আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার জেরে সেই রাতেই অশান্ত হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। অগ্নিসংযোগ করে শিশু ও নারী সহ ১০ জনকে গনহত্যা করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গণহত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে এই ৩ জনের নাম উঠে আসে। সেই ৩ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করে বগটুই গ্রামে নোটিশ সাঁটাল সিবিআই।বগটুই হত্যাকাণ্ডকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একটি হল ভাদু শেখের হত্যা এবং অন্যটি হল একাধিক জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা। ওই দুটি ঘটনারই তদন্ত করছে সিবিআই। দুটি ঘটনাতেই বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাদের জন্য নোটিস সাঁটাল হল গ্রামে। ওই নোটিসে যে ৩ জনের নাম লেখা রয়েছে তারা হল রোহন শেখ, মারফত শেখ ও খুশিল শেখ। রোহন শেখ হল বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত ও সিবিআই হেফাজতে তাকাকালীন মৃত লালন শেখের ছেলে। মারফত শেখ নিহত ভাদু শেখের বাবা।ওই ঘটনার রেশ এখনও রয়েছে বগটুই গ্রামে। একদিকে নিহত ভাদু শেখের পরিবার এবং অন্যদিকে নিহত ১০ জনের পরিবারের লোকজন এখনও ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। ফলে সিবিআইয়ের এই নোটিসে গ্রামে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে বগটুইকাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছিল সিবিআই। তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নুর আলি শেখ, শের আলি শেখ, আসিফ শেখ, বিকির শেখ, জাসিফ শেখ, সাইদুল শেখ ও জামিলুল শেখ নামে মোট ৭ জনকে। এরা সবাই বগটুইয়ের বাসিন্দা।