মৌমিতা চক্রবর্তী: সোমবার ঠাসা কর্মসূচি ছিল। তাই রবিবারই রাজ্যে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। রাজ্যে ভারত জোড়ো ন্যায় য়াত্রা শুরু করছেন রাহুল গান্ধী। তার মধ্যেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল অমিত শাহর বঙ্গ সফরের। শেষপর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল সেই সফর। হঠাত্ই জরুরি কাজ পড়ে যাওয়ায় সফর স্থগিত করে দিলেন শাহ। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর।
সোমবার কর্মসূচি থাকায় ররিবারই কলকাতায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। অমিত শাহ যে আসছেন না তা বঙ্গ বিজেপির তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তিনি সফর স্থগিত করলেন তার কোনও পোক্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারছেন না।এই মহুর্তে বড় খবর হল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মতিগতি। এনিয়ে টানটান উত্তেজনা রয়েছে দিল্লিতে। আরজেডির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বিজেপির সঙ্গে যোগ দিতে পারে নীতীশের জেডিইউ। এমনই একটা জল্পনা তীব্র হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারনা হয়তো সেই কারণেই ব্যাস্ততা বেড়ে গিয়েছে অমিত শাহর। রবিবার রাজ্যে এসে দলীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, সকালে বারাসতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সোমবার মেচেদায় তাঁর সভা ছিল। এমনও একটা জল্পনা ছিল, শাহর সেই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী।অমিত শাহর বঙ্গ সফর স্থগিত নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ওঁর অফিস থেকে ২৯ তারিখে ওঁর যে সভা ছিল তা আপাতত স্থগিত হয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দিল্লি ও জাতীয় রাজনীতিতে অনেককিছুই ঘটছে। আমরা আন্দাজ করছি, ওইসব কারণেই মানণীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সফর স্থগিত রাখছেন। পরবর্তী সফরের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই ওইসব আসা সম্ভব নয়। তার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি সভা হবে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা স্থগিত নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অমিত শাহজি বারবার আসেন। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগেও বারবার এসেছেন। ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। এঁরা যত বেশি আসেন ততই বাংলার মানুষ বেশি করে সিদ্ধান্ত নেন এদের ভোট নয়, ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকে দিতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজ্য। ওঁরা আসতেই পারেন। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বেও বোঝেন এরাজ্যে তাদের সংগঠন বলে কিছু নেই। এরজ্যে বিজেপিকে চলতে হয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করে। বাংলার বিজেপি নিয়ে অমিত শাহের বাড়তি উত্সাহ থাকার কোনও কারণ নেই। আর যদি উত্সাহ দেখান তাহলে তাঁকে উত্সাহহীন করে দেওয়ার কাজ বাংলার মানুষ করে দেবেন।